দোকান পরিদর্শনের সময় গরমিল ধরা পড়ায় ফের দুই রেশন ডিলারকে শো-কজ করল খাদ্য দফতর। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার ঘটনা।
দফতরের এক সূত্রে খবর, গত রবিবার জারুলিয়ার রেশন দোকান পরিদর্শন করেন এক পরিদর্শক। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু গরমিল ধরা পড়ে। পরিদর্শকের রিপোর্ট জমা পড়ে খাদ্য দফতরে। এরপরই হরিপদ মাহাতো ও তাপস মাহাতো নামে দুই রেশন ডিলারকে শো-কজ করা হয়। কেন এই গরমিল— সাতদিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না-হলে ওই দুই ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে দফতরের ওই সূত্রে খবর। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ওখানে কিছু গরমিল ছিল। তাই শো-কজ করা হয়েছে।”
দিন কয়েক আগে লালগড়ের নেপুরার এক রেশন ডিলারকেও শো-কজ করে খাদ্য দফতর। অভিযোগ, রেশন দোকান নানা অনিয়ম চলছিল। আচমকা হানা দেন পরিদর্শক। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় গরমিল। দেখা যায়, হিসেবের থেকে ১০০ লিটার কেরোসিন তেল কম রয়েছে। জারুলিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এ বার লালগড়ের নেপুরার আরও দুই ডিলারকে শো-কজ নোটিস ধরানো হয়েছে। পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, দোকানে ৫০০ লিটার কেরোসিন তেল মজুত থাকার কথা। ৩০০ লিটার রয়েছে। বাকি ২০০ লিটার নেই। চাল, আটাও কম রয়েছে। জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “রেশন ও কেরোসিন দোকান পরিদর্শনের সময় যেখানে অনিয়মের হদিস পাওয়া যায়, সেখানেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়ার ক্ষেত্রে তাই করা হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত কাজের খতিয়ান হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরিদর্শক।”
একাংশ রেশন গ্রাহকের অভিযোগ, জেলায় এমন আরও বহু রেশন দোকান অনিয়মে চলছে। একাংশ গ্রাহকের বক্তব্য, কেরোসিনে বড়সড় দুর্নীতি চলছে। অভিযোগ, সরকার নিয়ন্ত্রিত কেরোসিন খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকের দাবি, কী করে এত কেরোসিন খোলাবাজারে চলে আসছে তার তদন্ত হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy