মঞ্চে: পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সুজিত মাহাতো
সে সদ্য ভূমিষ্ঠ। তাই আপাতত কয়েক মাস মায়ের হাত ধরেই তাকে চলতে হবে!
৪ এপ্রিল রাজ্যের ২২তম জেলার মর্যাদা পেয়েছে ঝাড়গ্রাম। কিন্তু পরিকাঠামো সম্পূর্ণ তৈরি নয়। তাই পুরোদস্তুর কাজ শুরু না-হওয়া পর্যন্ত অধিকাংশ পরিষেবা ‘মাদার জেলা’ পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মিলবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ বলেন, “আপাতত আমরা ঝাড়গ্রাম জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত তদারকির দায়িত্বে রয়েছি। উন্নয়ন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।” ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন জানিয়েছেন, নতুন জেলার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
কী অবস্থা ঝাড়গ্রাম জেলার প্রশাসনিক পরিকাঠামোর?
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় রাশ চেয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ঝাড়গ্রাম এসডিও অফিসের হেরিটেজ ভবনটি জেলাশাসকের কার্যালয় হয়েছে। হেরিটেজ ভবনের পিছনে নতুন মিটিং হলের দোতলায় মহকুমাশাসকের দফতরটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক দফতরগুলির বিন্যাস ও বিভাজনের জন্য এসডিও অফিস লাগোয়া নতুন একাধিক ভবন তৈরি হয়েছে। পুরনো ভবনগুলিও সংস্কার করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন জেলার জন্য ২৮ জন আধিকারিক এবং ১৯৫ জন কর্মীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের ‘অপশন’ দেওয়া হচ্ছে ঝাড়গ্রামে কাজ করার জন্য। আগ্রহী কর্মীদের মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামে বদলি করে নিয়ে আসা হবে। আপাতত মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীদের দিয়েই জেলাশাসকের দফতরের প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পদ সৃষ্টি হলেও এখনও আধিকারিক ও কর্মীর সংস্থান না হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনই ভরসা। তবে, ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের অবশ্য মেদিনীপুরে দৌড়তে হবে না বলে আশ্বাস দিচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসকের দফতর থেকে যে সমস্ত পরিষেবা মেলে, তা পাওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করা যাবে। এখনও ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ গঠন করা হয়নি। আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নতুন জেলা পরিষদ ভাগ হবে কি-না সেটাও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy