সাতসকালে উদ্ধার তিনটি মৃতদেহ। আলাদা আলাদা জায়গায় ওই মৃতদেহগুলি উদ্ধারে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে।
শনিবার মেদিনীপুর, খড়্গপুর ও বেলদা এলাকায় তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মেদিনীপুর স্টেশনের অদূরে রাঙামাটি এলাকা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে রেলপুলিশ। মৃত গোরাচাঁদ হাঁসদা (২৪)-এর বাড়ি কেশপুরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র রাঙামাটি এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থাকতেন। এ দিন সকালে উড়ালপুলের নীচে রেললাইনে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কর্মরত রেল শ্রমিকেরা। ওই দিন সকালে মেস থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এর পরে রেললাইন পার হওয়ার সময়ে কোনও ট্রেনের ধাক্কায় ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে রেল পুলিশের অনুমান। তবে ওই ছাত্রের বাড়িতে বিষয়টি জানাতে কেশপুর থানায় খবর পাঠিয়েছে রেল পুলিশ।
এ দিনই খড়্গপুর শহরের ঝাপেটাপুরে চাঁদমারি ময়দান সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত চিরঞ্জিৎ তাণ্ডি(৫৩) শহরের ছোটট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় নিয়মিত মদ্যপান করতেন। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি ছিল। শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এর পরে চাঁদমারি ময়দান সংলগ্ন একটি গাছে গলায় দড়ির ফাঁসে ওই প্রৌঢ়কে ঝুলতে দেখা যায়। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
সকালেই বেলদা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলী সিংহ(৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলী নারায়ণগড়ের কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা বেলদা এলাকায় মনোহারি জিনিসপত্র ফেরি করতেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই বৃদ্ধা নেশাও করতেন। অধিকাংশ দিন রাতে বাড়ি ফিরতেন না। বেলদায় পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই থাকতেন। এ দিন সকালে ওই বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করেন। সারা না-পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শীতে অসুস্থ হয়ে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy