প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে শৌচাগার নেই। তাই রাতে পাড়া লাগোয়া জঙ্গলে শৌচকর্মে গিয়েছিলেন তিনি। ঘরে ছিলেন মাস চারেক আগে বিবাহিত স্ত্রী। শৌচকর্ম সেরে ঘরে ফিরে তিনি স্ত্রীকে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন বলে অভিযোগ। রাগে আর মাথা ঠিক রাখতে পরেননি কাঁথির ভূপতিনগর থানার মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ হাতি। ঘরে রাখা শাবলটা তুলে নিয়ে প্রতিবেশী ওই যুবককে মারতে গেলে তার সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিশ্বনাথের। হাতাহাতির মধ্যেই এক ফাঁকে কাটারি দিয়ে ওই যুবককে কোপ মারেন তিনি। স্ত্রী বাধা দিতে গেলে কাটারির কোপে জখম হন তিনিও। তাঁর আঙুল কেটে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিশ্বনাথকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে। আহত রিঙ্কিদেবীকে প্রথমে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম নাড়ুগোপাল জানা (৩৫)। তিনি বিবাহিত। স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় বিশ্বনাথ জানিয়েছেন নাড়ুগোপাল তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল। স্ত্রীর চিৎকার শুনে তিনি মাথা ঠিক রাখতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটান। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত নাড়ুগোপালের সঙ্গে রিঙ্কিদেবীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজের সূত্রে বিশ্বনাথ প্রায়ই বাইরে যেতেন। সেই সুযোগে মাস চারেক আগে বিয়ে হওয়া রিঙ্কিদেবীর কাছে আসত নাড়ুগোপাল। তার সঙ্গে রিঙ্কিদেবীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে তাদের অনুমান। তদন্তে পুলিশ এও জানতে পেরেছে, মহিলাদের প্রতি দুর্বলতা ছিল নাড়ুগোপালের। তাই বিশ্বনাথবাবুর ধর্ষণের অভিযোগকেও তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।
কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত বিশ্বনাথ সত্যি বলছে কি না, রিঙ্কিদেবীকে জেরা করলেই তা জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy