আট বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক অরবিন্দ মিশ্রা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রাসবিহারী সুঁই(৭১)। বাড়ি জামবনি থানা এলাকায়। ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জামবনি থানা এলাকার আট বছর বয়সের এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরের দিন নাবালিকার শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় ওই নাবালিকা। নাবালিকার থেকে বিষয়টি জানার পর জামবনি থানায় নাবালিকার বাবা লিখিত অভিযোগ জানালে অভিযোগের দিনেই অভিযুক্ত রাসবিহারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’মাসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষ করে পুলিশ। ২০২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ওই বছরের ১১ জুন আদালতে তা গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতা নাবালিকা, নাবালিকার বাবা-মা-সহ ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে গত ১৭ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ঝাড়গ্রাম আদালতের সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত রায় বলেন, “পকসো আইনের ৬ ধারায় অভিযুক্তকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড হবে। পাশাপাশি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় অভিযুক্তকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সব সাজা একসঙ্গেই চলবে। আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যে জরিমানা দেবে, সেই অর্থ নাবালিকার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারকে নাবালিকার জন্য ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “রায়ে আরও বলা হয়েছে, ঝাড়গ্রামের জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নাবালিকার সঙ্গে সংবেদনশীলভাবে যোগাযোগ করবেন এবং রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্প সম্পর্কে তাকে জানাবেন।”