কংসাবতীর আমদই-কনকাবতী ঘাটে বাঁশের সাঁকো।
কংসাবতীর উপর বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো পেরিয়ে ৮ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর শহর!
ঝাড়গ্রামের আমদই গ্রামের চুমকি বেরা সেই সাঁকো পেরিয়ে সাইকেল চালিয়ে মেদিনীপুর শহরে ইংরেজি গৃহশিক্ষকের কাছে নিয়মিত পড়তে যান। ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া কলেজের ছাত্রী চুমকির মতো আরও কয়েক হাজার মানুষের খুব কাছের শহর হল মেদিনীপুর। ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা, সর্ডিহা ও মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি, গোপীবল্লভপুর, বেলিয়াবেড়া, খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডার মতো আশেপাশের আরও বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ সহজে মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য আমদই-কনকাবতী ঘাটের বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করেন। কিন্তু ওই সাঁকো দিয়ে মোটরবাইক এবং সাইকেল ছাড়া আর কোনও যানবাহন পেরোতে পারে না। এলাকাবাসীর দাবি, কংসাবতীর আমদই-কনকাবতী ঘাটের মধ্যে কংক্রিটের স্থায়ী তৈরি করা হোক।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দশেক আগেও জেলা পরিষদের উদ্যোগে ফি-বছর আমদই-কনকাবতী ঘাটের মধ্যে ফেয়ার ওয়েদার সেতু তৈরি করা হত। ওই সময় ফেয়ার ওয়েদার সেতু দিয়ে মেদিনীপুর-খালশিউলি রুটে বাস ও অন্যান্য যানবাহনও চলাচল করত। সেতু ভেঙে গেলে তখন নৌকায় যাত্রী পারাপার হত। মাওবাদী অশান্তি পর্বে ফেয়ারওয়েদার সেতু তৈরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চার চাকার যানবাহনগুলিকে ঘুরপথে চৌরঙ্গী মোড় হয়ে মেদিনীপুরে যেতে হয়।
এখন এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে জেলা পরিষদকে বার্ষিক এককালীন প্রায় দশ লক্ষ টাকা রাজস্ব দিয়ে এ বছরের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরির বরাত পান। সাঁকো ব্যবহারকারী পথচারী, বাইক ও সাইকেল আরোহীদের কাছ থেকে ২ টাকা, ৩ টাকা ও ৫ টাকা হারে ‘টোল’ আদায় করেন তাঁরা। অভিযোগ, বেআইনি বালি কারবারীদের বাধায় দু’টি মূল ঘাটের মধ্যে সাঁকোটি করা সম্ভব হয়নি। ফলে, আমদইয়ের দিক থেকে বাইক ও সাইকেল নিয়ে বেশ খানিকটা বালির চর পেরিয়ে তবে পূর্ব দিকে কনকাবতীর অন্য একটি ঘাটে ওঠা যায়। কনকাবতী ঘাট থেকে ধেড়ুয়া-মেদিনীপুর পিচ রাস্তা ধরে ৮ কিলোমিটার গেলেই মেদিনীপুর শহর।
স্থানীয় বিধায়ক (গোপীবল্লভপুর বিধানসভা) তথা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর অবশ্য দাবি, “সমস্যা হচ্ছে মানছি। তবে বললেই তো চট করে সেতু করে দেওয়া যায় না। সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy