পথে-প্রচারে: পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের লোকজন। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি অ্যাসিড বিক্রি বন্ধ এবং আক্রমণ রুখতে এ বার পথে নামল চাইল্ড লাইন।
শুধু মাইকিং নয়, লিফলেট বিলির পাশাপাশি অ্যাসিড হামলার নয়া আইন সম্পর্কে ধারণা দিতে শিবিরের আয়োজন করেছে তারা। হামলায় অভিযুক্তদের কী শাস্তি হতে পারে তা নিয়েও প্রচার করা হচ্ছে। চাইল্ড লাইনের জেলা কো-অর্ডিনেটর বিশ্বনাথ সামন্ত বলেন, “মূলত শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েই কাজ করে চাইল্ড লাইন। কিন্তু যে ভাবে অ্যাসিড হামলা বাড়ছে তার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত। ঘাটালে প্রায়ই অ্যাসিড হানার ঘটনা ঘটে। মানুষকে সচেতন করতেই প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
দাসপুর থানার ওসি প্রদীপ রথ বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে অ্যাসিড বিক্রির বিষয়ে পুলিশের তরফেও প্রচার এবং নজরদারি শুরু হয়েছে। চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকেও প্রচার করা হচ্ছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “বেআইনি অ্যাসিড বিক্রি বন্ধে অভিযান চলছে।”
খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। অ্যাসিড হানা বন্ধে কড়া আইনও চালু হয়েছে। অভিযোগ, তারপরেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘাটাল-দাসপুর সহ জেলা জুড়ে লাইসেন্স ছাড়াই দেদার বিক্রি হচ্ছে অ্যাসিড। আর এই সহজলভ্যতাই অ্যাসিড হামলা বাড়ার কারণ বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরেই ঘাটালে এক বধূর উপর অ্যাসিড হানার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ওই মহিলা পরে হাসপাতালে মারা যান। চন্দ্রকোনা থানা এলাকাতেও এক মহিলাকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে। পর পর হামলায় অ্যাসিড বিক্রি বন্ধে তৎপর হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ, নজরদারির ঢিলেমিতে ফের যে কে সেই পরিস্থিতি। অথচ, অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে—এক, বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। দুই, অ্যাসিড বিক্রি করলে ক্রেতার ছবি সহ সমস্ত নথি রাখতে হবে দোকানদারকে। তিন, মজুতের পরিমাণ এবং খরচ সহ সমস্ত তথ্য ১৫ দিন অন্তর মহকুমা শাসককে জানাতে হবে। কিন্তু সে সবের কোনও তোয়াক্কা না করেই যথেচ্ছ ভাবে অ্যাসিড বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy