দলীয় পতাকা তুলে দিচ্ছেন আফজল। নিজস্ব চিত্র
রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। বড় জোর মাসখানেক। এ মধ্যেই এলাকায় দলের এবং নিজের জমি শক্ত করতে শুরু করেছেন পাঁশকুড়ার নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র দাদা আফজল শা। যার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন মাইশোরার বলরামপুর গ্রামে কমপক্ষে ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী আফজলের হাত ধরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
গত ৭ অক্টোবর মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কুরবান। তাঁর খুনের পর মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দাদা আফজলের হাতে মাইশোরায় দলের দায়িত্ব দেন। মাইশোরায় দলের কোর কমিটির প্রধান করা হয় আফজলকে। দায়িত্ব পেয়ে আফজল এলাকায় জন সংযোগ শুরু করেন। এ দিন মাইশোরার বলরামপুর গ্রামে জনসংযোগে যান তিনি। সেখানে প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন আফজল।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় বিজেপি তৃণমূলের থেকে প্রায় তিন হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। মাইশোরাতেও বিজেপি টেক্কা দেয় তৃণমূলকে। বলরামপুর বুথেও প্রায় ২০০ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এমন সময়ে বিজেপি’র নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে যোগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হঠাৎ করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে কেন? সদ্য দলত্যাগী কার্তিক পাহাড়ের কথায়, ‘‘আগে তৃণমূলই করতেম। স্থানীয় কিছু নেতাদের খারাপ আচরনের জন্য বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কুরবানের খুনের নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে, এটা জানতে পেরে আমরা দল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
দলীয় কর্মীদের দল পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘ওখানে বিজেপির কোন সংগঠন ছিল না। ওটা তৃণমূলের সাজানো নাটক।’’ যদিও এ বিষয়ে তৃনমূল নেতা আফজল শা বলেন, ‘‘সংগঠন না থাকলে গত ভোটে বলরামপুর বুথে বিজেপি এগিয়ে থাকে কী করে? আমার ভাইয়ের খুন বিজেপির পরিকল্পিত হামলা। মাইশোরার মানুষ বিজেপির আসল রূপ দেখে নিয়েছে। তাই তারা ফের নতুন করে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy