Advertisement
E-Paper

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে ২৭৯ জন প্রার্থীকে বুধবার সংসদ অফিসে নথিপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য মোবাইলে মেসেজ (বার্তা) পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া মাধ্যমিক পাশ ও এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নথিপত্র-সহ ডাকা হল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে ২৭৯ জন প্রার্থীকে বুধবার সংসদ অফিসে নথিপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য মোবাইলে মেসেজ (বার্তা) পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংসদ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১০ সালে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা তৈরি হয়। কিন্তু তালিকায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ও এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থীই বাদ পড়ে যান অভিযোগ। এই নিয়ে পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের একাংশ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই প্রশিক্ষণের জন্য প্রাপ্য ২২ নম্বর যুক্ত করে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা তৈরির জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই আবেদনের শুনানির পর ২০১১ সালে হাইকোর্ট রায় দেয়, ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আবেদনকারী পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরীক্ষার ফলের সঙ্গে ২২ নম্বর যুক্ত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। গত ২৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, মাধ্যমিক পাশ ও পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই ওই প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে ওই প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করতে আমরা আগেই দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা চাই তাঁদের দ্রুত শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হোক।’’

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানস দাস বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে ওই প্রার্থীদের নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।’’

Supreme Court of India Primary Teachers PTTI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy