Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের ‘উস্কানি’র পাল্টা পার্টি অফিস ভাঙচুর, অভিযুক্ত বিজেপি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ, শনিবার রাতে এলাকায় এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জড়ো করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০২:১৪
ভাঙচুর হওয়া তৃণমূলের পার্টি অফিস। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুর হওয়া তৃণমূলের পার্টি অফিস। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির কমী-সমর্থকদের ভোজে রান্না করা ভাতে বালি-কাঁকর মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, রান্না মাংসের কড়াই থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের উস্কানিতেই পুলিশ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে এই অভিযোগ তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পটাশপুর-১ ব্লকের গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাবেড়িয়ায় ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘পুলিশ বিজেপির রান্না ভাতে কাঁকর মিশিয়েছে এই অভিযোগ সত্যি নয়। বিজেপির লোকেরা এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের আটকাচ্ছিল, পার্টি অফিস ভাঙচুর করছিল। তাই সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় রবিবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ, শনিবার রাতে এলাকায় এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জড়ো করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করেছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাস্তার মোড়ে বিজেপির লোকেদের জমায়েতের কারণে ইচ্ছে থাকলেও এলাকা ছেড়ে বেরোতে ভয় পাচ্ছিলেন দলের কর্মীরা। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে তৃণমূলের লোকজনকে যেতে না দেওয়ার জন্যই বিজেপি নেতৃত্ব এমন পন্থা নিয়েছিল বলে তৃণমূলের অভিযোগ। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকেদের আটকানো কিংবা তাদের হুমকি দেওয়ার কোনও উদেশ্য ছিল না। তেমন কিছু ঘটেওনি। শুধু দলীয় কিছু কর্মী নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে খাওয়া-দাওয়ার জন্য মাংস-ভাত রান্না করেছিল। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, টাকাবেড়িয়া রাস্তার ধারে বাড়িতে যখন রান্নার কাজ প্রায় শেষ, সেই সময় তৃণমূলের উস্কানিতে পটাশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে হানা দেয়। বিনা প্ররোচনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে তারা আটক করে। রান্না করা ভাতের উপর রাস্তার বালি-কাঁকর -পাথরের টুকরো মিশিয়ে দেয়। মাংসের ডেচকি তুলে নিয়ে চলে যায় থানায়।

রান্না করা ভাতে বালি-কাঁকর ফেলার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পরে অদূরে শিয়ালদা বাজারে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। লাঠি-বাঁশ দিয়ে রাতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসটি। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, তৃণমূলের লোকেরা রাতে সমাবেশে যাওয়ার আগে এলাকায় বোমাবাজি করে অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছিল। স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা মোহনলাল সিংহ বলেন, ‘‘স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা মাংস-ভাত রান্না করে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিল। পুলিশ গিয়ে সেখানে হামলা চালায়। ভাতে বালি, কাঁকর, নোংরা মিশিয়ে দেয়। রান্না করা মাংসের কড়াই তুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরে আমাদের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূলের লোকজন রাতে এলাকায় বোমাবাজি করার জন্য গ্রামের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর করেছে।’’

পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের কথা মতো বিজেপির লোকেরা তৃণমূল কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করছিল। পুলিশে খবর দেওয়ায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সে জন্যই রাতে দু’’জন তৃণমূল কর্মীকে মারধর এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে বিজেপি। তৃণমূলের উস্কানির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’

Violence Crime TMC BJP Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy