ফের গুলি চলল খড়্গপুরে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের গোলবাজারে গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। এন রাজেশ নামে ওই যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজেশের বাঁ পায়ের উপরের দিকে গুলি লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে ধারণা পুলিশের। গুলিচালনার ঘটনায় প্রশ্নে রেলশহরের নিরাপত্তা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রেলশহরের গোলবাজারে একটি দোকান কেনার কথা ছিল খরিদার বাসিন্দা রাজেশের। দোকানঘর কেনার জন্য এক ব্যবসায়ীকে তিনি তিন লক্ষ টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, দোকান কেনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবাজারের একাংশ যুবক। ওই যুবকেরা জানিয়ে দেয়, বাইরের কাউকে দোকানঘর বিক্রি করা যাবে না। পরে ওই যুবকেরা রাজেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। হুমকি দিয়ে তাঁকে জানিয়ে দেয়, গোলবাজারের ওই দোকানঘর কিনলে ভাল হবে না। পরে তাঁকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। আগেও ওই যুবকদের সঙ্গে রাজেশের বচসা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খরিদার ওই যুবক গোলবাজারে আসেন। তখন ফের বচসা শুরু হয়। সেই সময় রাজেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।
মাস কয়েক আগেই রেলশহরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, কিছু গুলি উদ্ধার হয়েছে। টাটা ব্যাঙ্কের কাছে সোনার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন সোনার ব্যবসায়ী উত্তম দাস। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই সময় গুলিবিদ্ধ হন কাঠমিস্ত্রি সুনীল শর্মা।
কেন দুষ্কৃতী দাপটে রাশ টানা যাচ্ছে না? পুলিশের একাংশ মানছে, খড়্গপুরে ছোট ছোট দুষ্কৃতী দল রয়েছে। কয়েকটি দল অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসে অপরাধমূলক কাজ করে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার টাটানগর থেকে এসে অপরাধমূলক কাজ করে পালায়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “রেলশহরে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। কে কী উদ্দেশ্য নিয়ে আসছে বোঝা কঠিন। তবে অপরাধমূলক কাজকর্মে রাশ টানার সব রকম চেষ্টা চলছে।” ওই পুলিশ কর্তা বলেন, “মঙ্গলবারের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy