Advertisement
E-Paper

কর্ণের সঙ্গী মুন্না ধরা পড়ার খবরে স্বস্তি কাঁথিতে

পুলিশ জানিয়েছে, নিউটাউনের পাথরঘাটার বাসিন্দা চঞ্চল মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং নিউ টাউন থানার চার জনকে গ্রেফতার করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১২
কাঁথির কুখ্যাত আসামি কর্ণ বেরা। ফাইল চিত্র

কাঁথির কুখ্যাত আসামি কর্ণ বেরা। ফাইল চিত্র

মাস দেড়েক আগে কাঁথি আদালত চত্বর থেকে বোমা ও গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে গিয়েছিল কর্ণ বেরা-সহ কয়েকজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ঘটনার দিনেই ধরা পড়েছিল কর্ণ। তবে ফেরার ছিল তার শাগরেদ শেখ সিরাজ ওরফে মুন্না। মঙ্গলবার কলকাতার নিউ টাউনে অন্য একটি খুনের পুলিশের জলা ধরা পড়ল সেই মুন্না।

পুলিশ জানিয়েছে, নিউটাউনের পাথরঘাটার বাসিন্দা চঞ্চল মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং নিউ টাউন থানার চার জনকে গ্রেফতার করেছিল। তার মধ্যেই মুন্না এবং তার এক শাগরেদ শেখ রফিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ওই দু’জন ভাড়াটে খুনি হিসাবে ওই ঘটনায় যুক্ত ছিল।

গত ৪ অক্টোবর কাঁথি আদালত থেকে কর্ণের সঙ্গে এই মুন্না, বিশ্বজিৎ ওরফে সুরজিৎ গুড়িয়া এবং রথীকান্ত মণ্ডল পুলিশের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে বোমা এবং গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু’টি মামলা দায়ের করেছিল। প্রথমত, পুলিশকে মারধর, গুলি ও বোমা ফাটানো সংক্রান্ত একটি মামলা। ওই মামলাটি এখন সিআইডির হাতে রয়েছে। অন্যটি, এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল সেদিন ছিনিয়ে নিয়েছিল মুন্না ও কর্ণেরা। বাইক ছিনতাইয়ের মামলাটি কাঁথি থানার আওতাধীন।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “ওই মোটর সাইকেল ছিনতাই মামলায় কাঁথি থানার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নিউটাউন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

কর্ণের মতো কাঁথি এলাকায় মুন্নারও যথেষ্ট দাপট ছিল। ব্যাঙ্ক, পেট্রল পাম্প ডাকাতি, খুন-সহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত কাঁথির জালালখাঁবাড়ের বাসিন্দা মুন্না। স্থানীয় সূত্রের খবর, একটা সময় ছিল যখন মুন্না ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে চিঠি লিখে সেই গৃহস্থ বা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিত। এমন দুষ্কৃতী পুলিশের জালে ধরা পড়ায় রীতিমতো স্বস্তির হাওয়া কাঁথির বাসিন্দাদের মধ্যে।

আইনজীবী ও কাঁথি মনোহরচকের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর দাস বলেন, ‘‘কর্ণ ও মুন্না দুই সাগরেদ। কর্ণ ধরা পড়ার পর বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার আদালতে আসছে। সেই দিনগুলোতে আদালতের পরিবেশ থমথমে থাকে। কারণ মুন্না বাইরে থাকায় বেশ ভয় করত। এখন মুন্না পুলিশের জালে। কথাটা ভেবে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে কর্ণ আত্মগোপনের জন্য মাথা কামিয়ে ফেলেছিল। পুলিশকে ফাঁকি দিতে মুন্নাও মাথা কামিয়ে ফেলেছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে প্রকাশ। তবু শেষ রক্ষা হল না।

Karna Bera Munna East Midnapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy