দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে শমিত।
শাসক দলকে কোন ‘অস্ত্রে’ ঘায়েল করতে হবে কর্মীদের তা বোঝাতে গিয়েছিলেন। শেষে দলের এক প্রাক্তন কর্মীর (গেরুয়া শিবিরের দাবি বহিস্কৃত) লাঠির আঘাতে ঘায়েল হয়ে ফিরলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস।
শুক্রবার দাঁতনের রবীন্দ্র ভবনে ছিল বিজেপির কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির। সেখানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শমিত। গাড়ি থেকে নামতেই আক্রমণ। আচমকাই একজন রড দিয়ে শমিতের মাথার পিছনে আঘাত করেন। মাথা ফেটে যায় বিজেপির জেলা সভাপতির। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আরও একজন। পরে ফের ইট নিয়ে তেড়ে আসার সময় কর্মীরা উত্তম দাস নামে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। তাঁর কাছে ধারালো অস্ত্রও ছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
কে এই উত্তম দাস? বিজেপির দাবি, আগে তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন উত্তম। পরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। দাঁতন উত্তর মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতির পদও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গত প্রায় দেড়বছর আগে তাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হল? জেলা সভাপতি শমিত বলেন, ‘‘দল বিরোধী কাজের জন্য তাকে সরানো হয়েছে। এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নেই। পেছন থেকে মদ্যপ অবস্থায় মাথায় মারা হয়। পুলিশে লিখিত অভিযোগ হবে।’’
শমিতকে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা পর ফের শমিত ফিরে আসেন রবীন্দ্র ভবনে। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে ফিরে যান তিনি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল উত্তমকে ইন্ধন দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। অন্যদিকে ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাদের মতে, অভিযুক্ত নাকি এখনও বিজেপির সঙ্গেই যুক্ত আছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘বিজেপির জেলা সভাপতির হামলা করার ঘটনায় আমরা দুঃখিত। কিন্তু ওদের দলের অন্তর্বিরোধ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেখানে জেলা সভাপতির উপর আক্রমণ করছে দলেরই এক নেতা। এটা ওদের দলের অন্তর্কলহের ফল।’’ ব্লক সভাপতি প্রতুল দাসের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে শামিল হয়েছিলেন উত্তম। প্রতিশ্রুতি মতো টাকা না পেয়েই এই হামলা।
বিজেপির এক অংশের বক্তব্য, উত্তম দলের যুব সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে কারণে ক্ষোভ ছিল। দল নতুন সভাপতির দায়িত্ব এখনও কাউকে দেয়নি। হয়তো পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এদিনের ঘটনায়। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। সভাপতির উপর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দাঁতন, বেলদা-সহ অন্যান্য জায়গায় প্রতীকী পথ অবরোধ করেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy