পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে মোট ৩৫৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। এরমধ্যে শাসক, বিরোধী উভয়পক্ষের মনোনয়নই রয়েছে। যে ৩৫৭টি মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তারমধ্যে জেলা পরিষদের ১০টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩৪টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১৩টি মনোনয়ন রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, “পরীক্ষা- নিরীক্ষার পরে বেশ কিছু মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।” তাঁর কথায়, “ওই সব মনোনয়নে অনেক ভুলভ্রান্তি ছিল। ঠিকঠাক ভাবে করা হয়নি।”
মনোনয়ন জমার শেষ দিনের পরে দেখা গিয়েছিল, পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরের ৩,৭০২টি আসনে মোট ৯,৬৮৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। মনোনয়ন পরীক্ষার পরে দেখা যাচ্ছে, বৈধ মনোনয়ন রয়েছে ৯,৩৩১টি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কিছু মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দেখছি।” শাসক দলের অন্য এক নেতার কথায়, “যাক্, সুবিধেই হল! কিছু আসনে তো বেশি মনোনয়নই হয়েছিল দলের!” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশও বলেন, “বিষয়টি দেখছি। হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে গিয়েছিল।” বস্তুত, জুন বা জুলাই মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এমনটা আশা করেছিলেন তৃণমূলের অনেক নেতা। বিরোধীদের অনেকেও। মে মাসের প্রথম দিনেই জেলায় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেওয়ায় তড়িঘড়ি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে কমবেশি সব দলই। জেলা তৃণমূলের এক নেতার স্বীকারোক্তি, “হঠাত্ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় সমস্ত দলই সমস্যায় পড়েছে। আমরাও! সমস্যা বেশি হয়েছে সংরক্ষিত আসন নিয়েই।” তাঁর কথায়, “তাড়াহুড়ো করে ফিলাপ করতে গিয়েই হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে গিয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট ৩,৭০২টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে জেলা পরিষদের ৫১টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৬১১টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,০৪০টি। জেলা পরিষদের ৫১টি আসনে মোট ২২৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ১০টি বাতিল হয়েছে। বৈধ মনোনয়ন রয়েছে ২১৩টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৬১১টি আসনে মোট ১,৭৭৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ৩৪টি বাতিল হয়েছে। বৈধ মনোনয়ন রয়েছে ১৭৪১টি। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,০৪০টি আসনে মোট ৭,৬৯০টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ৩১৩টি বাতিল হয়েছে। বৈধ মনোনয়ন রয়েছে ৭,৩৭৭টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy