Advertisement
১১ মে ২০২৪

দ্রুত হাসপাতাল চালু হোক, চান গোবিন্দ

২০ দিন পর জামিন পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। প্রথমে পুলিশি হেফাজত এবং তারপর জেল হেফাজতে থাকার পর গত সোমবার ঘাটাল আদালত থেকে জামিন পান গোবিন্দ বাবু। তারপর তাঁর ঠাঁই হয় মেদিনীপুর সংশোধনাগারে। মঙ্গলবার দলীয় নেতৃত্বরা তাঁর জামিনের কাগজপত্র জমা দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এরপরই মুক্ত হন তিনি।

গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০১:১১
Share: Save:

২০ দিন পর জামিন পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। প্রথমে পুলিশি হেফাজত এবং তারপর জেল হেফাজতে থাকার পর গত সোমবার ঘাটাল আদালত থেকে জামিন পান গোবিন্দ বাবু। তারপর তাঁর ঠাঁই হয় মেদিনীপুর সংশোধনাগারে। মঙ্গলবার দলীয় নেতৃত্বরা তাঁর জামিনের কাগজপত্র জমা দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এরপরই মুক্ত হন তিনি।
জেল থেকে বেরনোর পর তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। বোর্ড গঠনের আগে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে রামজীবনপুর পুরসভা দখল করা ছিল শাসক দলের লক্ষ্য। এ বার আমি নিজে হাসপাতালে দুর্নীতির সঠিক সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলব।’’ তবে তিনি জানান, সরকারি টাকায় তৈরি ওই হাসপাতালটি পুনরায় চালু করাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১০ সালে পুরভোটে রামজীবনপুরে একটি একটি হাসপাতাল চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৎকালীন পুরবোর্ড। সেই সময়ই ওই বোর্ডে ছিলেন গোবিন্দবাবুও। ২০১০ সালে পুরভোটে ক্ষমতায় আসার পরই হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি চার কাটা জমির উপর বিআরজিএফ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে চালু হয় হাসপাতালটি। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল চালুর কয়েকমাস পরই পিপিপি মডেলের ওই হাসপাতালে বিভিন্ন কোর্স করানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আর সেই অভিযোগেই মামলা হয় পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ অনান্যদের নামে। নাম ছিল গোবিন্দবাবুরও। ঘটনার পরই প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিবরাম দাস-সহ অনান্যরা জামিন নিলেও গোবিন্দবাবু জামিন নেননি। ২৫ মে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ কলকাতার জোড়াসাঁকো থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবারই শহরে পৌঁছে গিয়েছিল গোবিন্দবাবুর জামিনের খবর। এ দিন সকাল থেকে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন দলীয় কর্মী থেকে সাধারণ বাসিন্দারাও। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “দলীয় ভাবে রামজীবনপুরে গোবিন্দবাবুকে নিয়ে একটি রোড শো করব। একটি সভাও হবে। পাশাপাশি ওই হাসপাতালটি চালুর করার জন্য দলীয় ভাবে আমরা গোবিন্দবাবুর পাশে থেকে সব সাহায্য করব।’’ আবার এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল চালুর জন্য মাঠে নেমেছে তৃণমূলও। পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরীর ছেলে অভিষেক চৌধুরীও ওই হাসপাতালের মূল দায়িত্বে ছিলেন। ফলে এ বার নির্মলবাবুর বিপক্ষ গোষ্ঠীরাও গোবিন্দবাবুকে সব রকম সাহায্য করে আশ্বাস দিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরী বলেন, “আমরা ভোটের আগেও বলেছিলাম, এখনও বলছি-আমাদের প্রথম কাজ হাসপাতালটি চালু করা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE