খড়গপুরের ইন্দায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে এসে শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেছিলেন পুলিশকে। এ বার খড়্গপুর শহরে পুরভোটের প্রচারে পুলিশকে একহাত নিয়ে বহিরাগত মাফিয়াদেরও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
খড়্গপুর দিলীপের পুরনো ‘গড়’। বৃহস্পতিবার সকালে রেলশহরের ১, ২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে র্যালি করেন সাংসদ দিলীপ। পরে যান এগরায়। ফিরে এসে বিকেলে খড়্গপুরের ৬, ৭, ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে র্যালিতে যোগ দেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রার্থীদের পাশে নিয়ে খোশমেজাজে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে প্রচারের ফাঁকে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দিলীপের অভিযোগ, “এখনও আমাদের কর্মীদের ডেকে ধমকাচ্ছে পুলিশ। জোর করে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরাচ্ছে। তৃণমূল নেই, পুলিশ আছে। মানুষ তাই একটু সংশয়ে। তবে মানুষ আমাদের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জিতিয়েছে। পুরসভাতেও জেতাবে।”
রেলশহরের ভোটে মাফিয়া যোগের অভিযোগ বরাবরের। গত পুর-নির্বাচনেও শোনা গিয়েছিল বোমা-গুলির আওয়াজ। কম আসন পেয়েও অন্য দলের কাউন্সিলর ভাঙিয়ে বোর্ড গঠনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পরে ২০১৬ সালে প্রথম খড়্গপুর বিধানসভায় পদ্ম ফোটান দিলীপ। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও গেরুয়া জয় দেখেছে শহর। এ বার পুরবোর্ডে প্রত্যাবর্তন তৃণমূলের কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ। মরিয়া বিজেপিও। এখনও শহরে বোমা-গুলি চলেনি। তবে দিলীপের হুঁশিয়ারি, “রিগিং না করলে তৃণমূল জিততে পারবে না। মাফিয়া, পুলিশ এসব দিয়েই ওরা জেতার চেষ্টা করবে। আমরাও দেখব, বহিরাগতরা কী ভাবে আসে ও ফেরত যায়। সন্ত্রাস করে আর খড়্গপুরে জেতা যাবে না।”
রেলশহরে তৃণমূলের প্রচারেও এ দিন ছিল তারকার আলো। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। তালবাগিচা, কৌশল্যা, পুরাতনবাজার, ইন্দা, নিমপুরা ও ভবানীপুরের মতো বাঙালি এলাকায় জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে দেখতে ভিড় জমে। বিকেলে মালঞ্চ থেকে বড়বাতি পর্যন্ত রোড-শো করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক অজিত মাইতি, জুন মালিয়ারা। দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুর নির্বাচনে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে দিলীপ ঘোষ যে মিথ্যা কথা বলছেন, বাংলার মানুষ তা জেনে গিয়েছে। খড়্গপুরে বহিরাগত কেন লাগবে? পুরসভার বাসিন্দারা ভোট দেবেন। বহিরাগতদের এনে ২০২১ সালের ভোট করেছিল বিজেপি-ই।” মানসের আরও খোঁচা, “সাংসদ ও বিধায়কের ঝগড়ার জন্য খড়্গপুরে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় সেটা প্রশাসন দেখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy