Advertisement
E-Paper

ভাঙচুর বিজেপি নেতার গাড়ি

বুধবার রাতে রামনগর-১ ব্লকের মঙ্গলরপুরের কাছে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরে গাড়ির কাচ ভেঙে গেলেও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:১৯
এই গাড়িতেই ছিলেন অনুপ চক্রবর্তী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

এই গাড়িতেই ছিলেন অনুপ চক্রবর্তী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

দলীয় কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে ‘আক্রান্ত’ হলেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী।

বুধবার রাতে রামনগর-১ ব্লকের মঙ্গলরপুরের কাছে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের ছোড়া পাথরে গাড়ির কাচ ভেঙে গেলেও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে গাড়ির সামনের আসনে বসে থাকা মালতী মহাপাত্র নামে বিজেপির এক মহিলা নেত্রী এবং গাড়ির চালক জখম হয়েছেন। ঘটনার পর প্রতিবাদে রামনগরের ঠিকরাতে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রামনগর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

প্রসঙ্গত, এই জেলাতেই লোকসভা ভোটে প্রচারের সময় খেজুরিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। পরে কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে একটি কর্মসূচিতে গিয়ে ফের আক্রান্ত হয়েছিলেন দিলীপ। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে ভূপতিনগরে আক্রান্ত হন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও পুলিশের কোনও অভিযোগ হয়নি। তারপর ফের এদিনের ঘটনা।

জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে রামনগর-১ ব্লকের দেউলিহাটে পশ্চিম মণ্ডল কমিটির উদ্যোগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দলীয় সভা ছিল। সেখানে জেলা বিজেপি সভাপতি (কাঁথি) গিয়েছিলেন। কর্মসূচি শেষ করে কাঁথি ফেরার পথে মঙ্গলপুরের কাছে একটি নার্সিংহোমের সামনে জেলা সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা পাথর ছোড়ে। পাথেরর আঘাতে অনুপের গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়। তাঁর আঘাত না লাগলেও জখম হয়েছেন গাড়িতে থাকা বিজেপির এক মহিলা নেত্রী এবং গাড়িচালক। অনুপের দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওরা আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এর আগেও একাধিক নেতা তথা দলের রাজ্য সভাপতির উপরে হামলা হয়েছে। তবে বার বার এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যাবে না। এর হিসেব আমরা বুঝিয়ে দেব।’’

বিজেপি নেতার উপরে হামলার প্রতিবাদে ঠিকরায় পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। রামনগর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডা চলে। যদিও এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। গোলমাল প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তীকে ফোন করা হলেও কাউকেই পাওয়া যায়নি।

BJP Strike Bandh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy