E-Paper

ফের ভাঙন পদ্মে, গোকুলনগরে তিন বছর পরে তৃণমূলের পতাকা

নন্দীগ্রাম এলাকায় গত রবিবার বিজেপিতে ভাঙনের পর বুধবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ৩ বছর পর দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৫৪
প্রতিষ্ঠা দিবসে পাঁশকুড়ায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করছেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।

প্রতিষ্ঠা দিবসে পাঁশকুড়ায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করছেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। নিজস্ব চিত্র।

আবার ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। ঘটনা হলদিয়া বিধানসভার সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি পঞ্চায়েত এলাকার।

সম্প্রতি শুভেন্দুর গড় হিসাবে পরিচিত নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা দল ছেড়েছেন। বুধবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফের ভাঙল পদ্ম শিবির। এ বার হলদিয়া বিধানসভায়। সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রতীকে জয় পেয়েছিলেন মধুসূদন দাস। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সুতাহাটার ব্লক সভাপতি পার্থ বটব্যাল সেই মধুসূদন দাসের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলের দাবি, মধুসূদন দাস-সহ প্রায় ৩০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দল ভাঙাচ্ছে তৃণমূল।’’

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম এলাকায় গত রবিবার বিজেপিতে ভাঙনের পর বুধবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ৩ বছর পর দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। হলদি নদীর ও পারে নন্দীগ্রামে গোকুলনগরে বৃন্দাবন চকে পতাকা উত্তোলন করা হয়।

হলদিয়ার পাশাপাশি এ দিন তমলুক শহরেও একাধিক নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি শাসকদলের। এ দিন তমলুক পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিজেপির ২৭০ নম্বর বুথ সভাপতি তুষারকান্তি মান্না ও ২৭৩ নম্বর বুথ সভাপতি সুভাষ জানা-সহ ৫০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের হাতে তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়ার দাবি, "তমলুক শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। ওয়ার্ড এলাকার দু’টি বুথের সভাপতি-সহ ৫০ জন বিজেপি কর্মী আমাদের দলে যোগদান করেছেন।’’ যদিও বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরীর দাবি,"তুষার আমাদের বুথ সভাপতি ছিলেন না। নিষ্ক্রিয় থাকায় আগেই তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। আর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী সুভাষ জানাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। বাকিদের আমরা চিনি না।’’ এ দিন কুকড়াহাটি অঞ্চল তৃণমূলের কার্যালয়েও উদ্বোধন করা হয়।

নন্দীগ্রাম এলাকায় প্রায় তিন বছর পরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। নন্দীগ্রামে গোকুলনগরে বৃন্দাবন চকে এই পতাকা তোলা হয়। সম্প্রতি গোকুলনগরে তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠে ৩৫ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের অধিকাংশ এখন এাকাছাড়া। সেই কারণেই পতাকা উত্তোলন করা গিয়েছে বলে দাবি। তৃণমূল কর্মী খুনের প্রতিবাদে এ দিন ধিক্কার মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শামসুল ইসলাম বলেন,"এলাকায় এখন বিজেপি নেতারা নেই। তাই এলাকা শান্ত। তিন বছর দলের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে পতাকা তুলতে দেওয়া হয়নি। এবার তাঁরা নির্ভয়ে পতাকা তুলতে পেরেছেন।" অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন," ভিত্তিহীন সব অভিযোগ। গোকুলনগর এলাকায় তৃণমূলের কোনও সংগঠন নেই। বিজেপি অন্য দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না। আসলে এলাকায় সংগঠন নেই তৃণমূলের। অন্য এলাকা থেকে কর্মীদের নিয়ে এসে পতাকা তুলেছে ওরা।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panskura TMC BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy