পঞ্চায়েতের সদস্যের কাছে আয়ের শংসাপত্র নিতে গিয়েছিলেন দুই বিজেপি সমর্থক। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সেই শংসাপত্রের বন্দোবস্ত না করে নিজের দলের কর্মীদের ডেকে পাঠিয়েছিল। এই নিয়েই বচসা চলাকালীন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম হলেন দু’পক্ষের আটজন।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডেবরা ব্লকের মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনারায়ণপুর গ্রামে। এ দিন ওই গ্রামের দুই যুবক নিমাই সিংহ ও অজিত সিংহ গিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামসুন্দর দাসের বাড়িতে। ওই যুবকদের অভিযোগ, তিনদিন ধরে আয়ের শংসাপত্রের জন্য ঘোরাঘুরি করলেও পঞ্চায়েত সেই শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন না। তাই এ দিনও পঞ্চায়েত ফিরিয়ে দেওয়ায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর পরেই গ্রামের মহিলা-সহ বিজেপির সমর্থকেরা ওই যুবকদের উদ্ধার করতে এলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জখম হন তৃণমূলের বিশ্বজিত মান্না, অজিত মণ্ডল, মিঠুন মণ্ডল, লক্ষ্মী মণ্ডল ও স্বপন জানা। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষে জখম হন প্রতিমা সিংহ, সুশীল সিংহ ও আনন্দ বেরা। এ দিন জখম সকলকে ডেবরা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা বরাবর সিপিএমের দাপট ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সিপিএম থেকে অনেকেই বিজেপিকে সমর্থন জানাচ্ছে। এই নিয়ে এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি বারবার সংঘাতে জড়াচ্ছে।
স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি দুলাল মাইতি বলেন, “ওই পঞ্চায়েত বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদের সুযোগ দেয়। সামান্য আয়ের শংসাপত্র চাইতে গেলে ওই দুই যুবককে আটকে পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কর্মীদের দিয়ে মারধর করেন।” যদিও পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামসুন্দর দাসের কথায়, “ওই যুবকদের আমি শংসাপত্র দেব বলেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ক্ষনিকের মধ্যে কাজ করতে বলছিল। তা করতে না পারায় ওঁরা আমার ওপর চড়াও হয়।’’ তৃণমূলের ডেবরা ব্লকের সভাপতি রতন দে বলেন, “আসলে শংসাপত্র নয়, অশান্তি করতেই ওই যুবকেরা গিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy