নন্দীগ্রামের শিমুলকুণ্ডু ও চণ্ডীপুরের দিবাকরপুর গ্রামে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহত দুই বিজেপি কর্মীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিমুলকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা সাহেব দাস বিজেপি’র যুব মোর্চার ব্লক সভাপতি। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের পরেই তাঁর বাড়িতে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ফের স্থানীয় একদল তৃণমূল কর্মী সাহেব ও তাঁর বাবা মধুসূদন দাসকে লোহার রড মারধর করে ও বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। আহত সাহেব দাসকে রাতে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় । শনিবার সকালে তাঁকে তমলুকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাহেবের অভিযোগ, ‘‘আগের বার হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা মামলা তোলার হুমকি দেয়। আমরা রাজি না হওয়ায় আক্রমণ করেছে।’’
অন্যদিকে চণ্ডীপুর থানার দিবাকরপুর গ্রামের বিজেপি সমর্থক প্রতাপ দাসকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহত প্রতাপকে শনিবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি মলয় সিংহের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের লোকেরা অত্যাচার করছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানো সত্বেও অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করছে না।’’
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘বেআইনিভাবে অস্ত্র রাখা নিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লোকেরা তেখালি ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছিল। এরপরেই মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষেরই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy