E-Paper

তিন মাসেও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি নেই বিজেপিতে, ক্ষোভ

রাজ্যের ২৩ টি জেলার প্রত্যেকটি সাংগঠনিক জেলা থেকে পদাধিকারী এবং বাকি সদস্যদের নামের প্রস্তাব গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৬:৩৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

তিন মাস পার হয়ে গিয়েছে। নতুন জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরেও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তৈরি হয়নি বিজেপির। পুরনোরাও এখন জল মাপতে শুরু করেছেন। অনেকে পদপ্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর।

এ বছর মার্চে তমলুক আর কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি-সভাপতি হিসেবে যথাক্রমে মলয় সিংহ এবং সোমনাথ রায়ের নাম ঘোষণা করে রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু জেলা বাদবাকি সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সদস্যদের নাম ঘোষণা হয়নি। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের ২৩ টি জেলার প্রত্যেকটি সাংগঠনিক জেলা থেকে পদাধিকারী এবং বাকি সদস্যদের নামের প্রস্তাব গিয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

পূর্ব মেদিনীপুরে দুই সাংগঠনিক জেলায় আগের কমিটিতে দলের যে সব বিধায়ক এবং সাংসদ ছিলেন, তাঁদের ফের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি পদে রাখার প্রস্তাব রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় কাঁথি সংগঠনিক জেলা থেকে সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী, বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এবং তমলুক থেকে অশোক দিন্দার নামও রয়েছে বলে বিজেপি-সূত্রের খবর। যদিও সে ক্ষেত্রে আদি বিজেপির তরফে আপত্তির কথা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানানো হয়েছে।

এ দিকে, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় অনেক নেতাই পদপ্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাংগঠনিক কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। ফলে কালিগঞ্জে বোমার আঘাতে শিশুর মৃত্যু থেকে শুরু করে কলকাতায় আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জেলা জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিরোধ কর্মসূচি নিতে বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ।

যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সোমনাথ রায় বলেন,"পুরনো জেলা কমিটিতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নিয়ে জেলা কমিটির কাজকর্ম করা হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করবে। তবে সৌমেন্দু সাংসদের পাশাপাশি জেলা সভাপতির সমতুল হিসেবে রাজ্য কমিটিতে থাকবেন।" পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা না হওয়ার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা বলেন, "শুনেছি ওদের এক পক্ষ চেয়েছে যে, ওদের মত অনুযায়ী জেলা কমিটি হোক। আর এক পক্ষ জেলা কমিটিতে নিজেদের পছন্দের মহিলা নেত্রীদের রাখতে চাইছেন। এটা নিয়েই বিজেপিতে টানাটানি চলছে। ওঁরা মানুষের সেবা করবেন কখন!"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Contai BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy