রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট লুটের অভিযোগ তুলে এবং স্ট্রংরুমে ব্যালট বদল করা হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দকুমার থানার শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায়। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বেলায় বিজেপির নেতা কর্মীরা প্রথমে শ্রীকৃষ্ণপুর হাই স্কুল লাগোয়া হলদিয়া-মেচেদা রাজ্যসড়কের ওপর বাঁশ বেঁধে অবরোধ শুরু করেন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এর জেরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দু’দিকে যানজট দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীরা শ্রীকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের সামনে থাকা ছাউনি ভেঙে দেন বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পরে নন্দকুমার থানা থেকে আরও পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রাস্তার উপরে থাকা বাঁশের ব্যারিকেড, কাঠের গুঁড়িও সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় অবরোধ চলতে থাকায় সাধারণ মানুষকে নাকাল হতে হয়।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফাই, ‘‘নির্বাচন ঘিরে প্রহসন হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। কোথাও মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভোট লুট হয়েছে। আবার কোথাও বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে ভোটে কারচুপি হয়েছে। ছাপ্পাও হয়েছে দেদার। নন্দকুমারে ভোট বাক্স ভেঙে ব্যালট বদল করা নিয়েই বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের উপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে।’’
এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, ভোটের দিন জেলা জুড়ে কোথাও বড়সড় অশান্তি ঘটেনি। তৃণমূল নেতারা জানাচ্ছেন, অনেক রাত পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। দু’একটি ছোট সমস্যাকে বড় করে দেখিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy