Advertisement
০৩ মে ২০২৪

উন্নয়নে গতি আনতে এ বার বৈঠক ব্লকে

উন্নয়ন বিষয়ক পর্যালোচনার জন্য এতদিন ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের জেলাতে ডাকা হত। এ বার উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ব্লকে গিয়ে বৈঠক করলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৩
Share: Save:

উন্নয়ন বিষয়ক পর্যালোচনার জন্য এতদিন ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের জেলাতে ডাকা হত। এ বার উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের কর্তারা ব্লকে গিয়ে বৈঠক করলেন। খতিয়ে দেখলেন, উন্নয়নের কাজ। খামতি দুর করতে কী পদক্ষেপ জরুরী সে নির্দেশও দেওয়া হল। তারই সঙ্গে ব্লক প্রশাসনকেও জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁরাও যেন পঞ্চায়েত স্তরে গিয়ে বৈঠক করেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ঢঙেই এ বার তৃণমূল স্তরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক চালু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। বুধবার গড়বেতা-১ ও ৩ ব্লক দিয়ে যার সূচনা করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ ও বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। জেলাশাসক বলেন, “উন্নয়ন পর্যালোচনা তো করতেই হবে। উন্নয়নের কাজে গতি আনতেই ব্লক স্তরেও বৈঠক করা হল।” এ দিন গড়বেতা-১ ব্লক গিয়ে বিস্তারিতভাবে দেখা হয় মিশন নির্মল বাংলা, রাস্তা, সেতু থেকে সব ধরনের কাজ। কোন কাজ কতটা এগিয়েছে, কোন কাজের গতি মন্থর, কোন প্রকল্পটির রূপায়ণ শুরু হয়নি, তার পিছনে কী কারণ - সব বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিশন নির্মল বাংলার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলাশাসক ও সভাধিপতি। কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এই কাজে অনেকটাই পিছিয়ে। আবার দু’তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত উপভোক্তাদের কাছ থেকে শৌগাচার নির্মাণের জন্য ৯০০ টাকা করে তোলার পরেও তা সরকারি খাতায় জমা করেনি। ফলে কাজও শুরু হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে ঠিকাদারেরাও ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ পাওয়ার পর কাজ শুরু করেনি বলে অভিযোগ।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই যাতে উপভোক্তাদের কাছ থেকে তোলা টাকা জমা দেওয়া হয়, ঠিকাদারেরাও কাজ শুরু করেন সেই নির্দেশ দেন জেলাশাসক। এ ছাড়াও সন্ধিপুরের কাছে সারসা সেতু নির্মাণের কাজে ঢিলেমি, ধাদিকা-কল্যানচক রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে সেতু ও রাস্তার বর্তমান অবস্থা দেখতে পরিদর্শনে যান পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি ও গড়বেতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ। এভাবেই গড়বেতা-৩ ব্লকেও কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় শ্লথ গতি দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন জেলাশাসক।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “জেলাস্তরের বৈঠকে ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির কাজ খতিয়ে দেখা হয়। ফলে নির্দিষ্ট কোনও ব্লকের উপর জোর দেওয়া যায় না। কিন্তু ব্লকে বৈঠক হলে, অনেক খুঁটিনাটি বিষয় উঠে আসে। তাতে ব্লকেরই লাভ হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Block officers development
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE