পরিজনেরা অভিযোগ করেছিলেন, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ দাবি করল, চাঁদড়ার আদিবাসী মহিলার মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও বলেন, ‘‘চাঁদড়ার ঘটনাটি খুনের ঘটনা নয়।’’
বৃহস্পতিবার সকালে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ার দেউলডাঙায় বাড়ির কাছ থেকে কালিন্দী হেমব্রম (৪৮) নামে ওই আদিবাসী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে পাঠায়। ওই দিনই ময়নাতদন্ত হয়। রাতে প্রাথমিক রিপোর্ট জানতে পারে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পড়শি যুবকের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কালিন্দীদেবী। বিকেলে ফিরে আসেন। তিনি বাড়ি ফেরার পরে বিয়বাড়িতে যান মেয়ে তাঁর মেয়ে নমিতা এবং জামাই রামেশ্বর। নমিতা-রামেশ্বর বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দেখেছিলেন, কালিন্দীদেবী বাড়ির সামনে খাটিয়ায় শুয়ে রয়েছেন। তখন সন্ধ্যা। তবে রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে তাঁরা দেখেন, খাটিয়ায় কালিন্দীদেবী নেই। পড়শিদের বাড়িতে খোঁজ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পিছনে কালিন্দীদেবীর দেহ পাওয়া যায়।
বিয়েবাড়িতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন কালিন্দীদেবী। নাচানাচিও করেছিলেন। পুলিশ মনে করছে, রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পিছনের দিকে যান তিনি। তখনই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy