মাস তিনেক আগেই বিয়ে হয়েছিল। জামাইষষ্ঠীতে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেও গিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু তারপরে আর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তরুণীর মা। চারদিনের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হল সেই তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ।
রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণের কলাইকুণ্ডার ধারেন্দা গ্রামে শ্বশুরবাড়ির ছাদে পাপুন দাস (২১)-এর দগ্ধ দেহ মেলে থেকে। লন্ডভন্ড ছিল ঘরে বিছানা। পুলিশের অনুমান, শনিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে পাপুনের। এ দিন সকালে গ্রামে খবর জানাজানি হয়। তারপরে খবর পৌঁছয় পাপুনের বাপের বাড়িতে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ক’দিন আগে খড়্গপুর ২ ব্লকের চকমকরামপুরে এক তরুণীকে গায়ের রং কালো বলে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। আর এ ক্ষেত্রে কলাইকুণ্ডা ফাঁড়িতে মেয়েকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঝাড়গ্রামের রগড়ার কুকড়াখুপী গ্রামের বাসিন্দা পাপুনের মা পুষ্পরানি দাস। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার চলছিল। মেয়েকে ফোনে কথা বলতে বাধা দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মৃতার স্বামী চন্দন দাস ও শ্বশুর বিজয় দাসকে গ্রেফতার করেছে। আরেক অভিযুক্ত শাশুড়ি শকুন্তলা দাস পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।