উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক। —নিজস্ব চিত্র।
স্ট্রং রুমে ঢুকে ব্যালট পেপার বদলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক। রবিবার বিকেল নাগাদ স্থানীয় নাইকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমের কাছে ঘোরাঘুরি করার সময় তমলুক নগর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া এবং তাঁর দলবলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। চঞ্চলকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাইকটিতে ফেলে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় হলদিয়া-মেছেদা রাজ্য সড়কের উপর। খবর পেয়ে তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে চঞ্চলকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিকেল নাগাদ চঞ্চল ও তাঁর তিন জন সঙ্গীকে নাইকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তিনি পুরসভা এলাকার বাসিন্দা হয়েও পঞ্চায়েতের স্ট্রং রুমের কাছে আসায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্সে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এর পরেই স্থানীয়েরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। চঞ্চলের সঙ্গীরা পালাতে সক্ষম হলেও তাঁকে ধরে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। মারের ধাক্কায় তাঁর জামাকাপড় রক্তাক্ত হয়ে যায়। এর পরেই উত্তেজিত জনতা চঞ্চলের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ঘটনাচক্রে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও চঞ্চলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল।
তমলুক শহর তৃণমূলের নেতা দিব্যেন্দু রায় বলেন, “এই মুহূর্তে মাথায় চোট নিয়ে চঞ্চল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। চঞ্চলের চিকিৎসা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় নেতৃত্বরা হাসপাতালে রয়েছেন।” কেন চঞ্চলের উপর হামলা হয়েছে, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি দিব্যেন্দু। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরেই এলাকায় ব্যাপক পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের খুঁজে বার করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে।
এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবী করেছেন তমলুক জেলা বিজেপির সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ঠিক কোন কারণে তমলুকে ঝামেলা হয়েছে, তা সেখানকার বাসিন্দারাই বলতে পারবেন। বিজেপি কোনও ভাবেই হিংসার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। এর সঙ্গে বিজেপিকে জুড়ে দেওয়া কোনও ভাবেই ঠিক হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy