পাপেট তৈরির কর্মশালা। ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে। রবিবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
ছিল কাগজ, হয়ে গেল ব্যাঙ! ব্যাঙের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আফ্রিকার জিরাফও হাজির ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে! কাঁচির কেরামতিতে আর্ট পেপার কেটে তৈরি হচ্ছে ‘পেপার গ্লাভস পাপেট’। কাগজের রংচঙে মুখনাড়া পাপেট বানিয়ে নিজেরাই অবাক কচিকাঁচারা। সেই সব গ্লাভস পাপেট হাতে পরে ছোটদের কল্পনা প্রসূত ছোট ছোট গল্পের বাস্তব নির্মাণ চলল রাম কিঙ্কর মঞ্চের অন্দরে।
২১ মার্চ বিশ্ব পুতুল দিবস উপলক্ষে শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে দিনভর এমনই এক পাপেট তৈরির কর্মশালা হল। দু’দিনের এই কর্মশালায় প্রায় পাঁচশো শিশু ও কিশোর-কিশোরী পাপেট তৈরির তালিম নেয়। এই উপলক্ষে সংস্থার রাম কিঙ্কর মঞ্চে পাপেট সংক্রান্ত এক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল বিভিন্ন ধরনের পাপেট, পাপেট-পোস্টার, পাপেট নিয়ে কবি শুভ দাশগুপ্তর লেখা নানা ধরনের ছড়া। ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির আয়োজনে সোমবার থেকে অরণ্যশহরের বিভিন্ন স্কুলেও পাপেট তৈরির কর্মশালা শুরু হচ্ছে। আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম সানি পয়েন্ট স্কুলে পাপেট তৈরির কর্মশালা হবে। পরশু, বুধবার কর্মশালা রয়েছে শহরের বলরামডিহি জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্র বলেন, “এখনকার শিশুদের উপর পড়াশুনা-সহ নানাবিধ মানসিক চাপ রয়েছে। সেই মানসিক চাপের উপশম ঘটানোর লক্ষ্যেই আমাদের এই সৃজনশীল উদ্যোগ। নিজেদের হাতে পাপেট তৈরি করে কচিকাঁচারা নির্মল আনন্দ পাচ্ছে, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy