বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতা কুরবান শা হত্যা মামলায় এবার দুই পলাতক অভিযুক্তের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের অভিযোগ উঠল গোয়েন্দা বিভাগ ডিআইবি'র এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার, তমলুকের এসডিপিও এবং পাঁশকুড়ার আইসি'র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত কুরবানের দাদা আফজল শা।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর খুন হন কুরবান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাই কোর্টের নজরদারিতে কলকাতা নগর ও দায়রা আদালতে কুরবান শা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। ওই মামলার অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত শীতল মান্না এবং গোলাম মেহেদি (কালু) এখনও ফেরার।সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আফজল। তাঁর অভিযোগ, শীতল ও কালুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আশিস সামন্ত নামে পাঁশকুড়া থানা ডিআইবি'র এক সিভিক ভলান্টিয়ার। আশিসের বাড়ি মাইশোরার মোহনপুর গ্রামে। তিনি পাঁশকুড়া থানা ডিআইবিতে পাসপোর্ট ভিরিফিকেশনের কাজ করেন। শীতল ও কালুকে আশিস বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে চলেছেন বলে অভিযোগ।আফজলের আরও অভিযোগ, গত বছর ২ ডিসেম্বর আশিস দিঘায় একটি হোটেলে শীতল ও কালুর সঙ্গে ছিলেন।
দুই পলাতক অভিযুক্তকে গ্রেফতাররে পাশাপাশি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি করেছেন আফজল। তিনি বলেন, ‘‘আশিস সামন্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। উনি ডিআইবি দফতরে কাজ করেন। আশিস শীতল মান্নার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শীতল ও কালু ফেরার হয়ে গেলেও তাদের সমস্ত রকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করছেন আশিস। ওঁর সহযোগিতা নিয়ে ওই দুই অভিযুক্ত রাতে বাড়ি আসে। আশিসের সঙ্গে শীতল ও কালুর যোগাযোগের সমস্ত তথ্য প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে।’’ এ বিষয়ে ডিআইবি'র এক আধিকারিক বলেন, "অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আশিস সামন্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তাঁর শাস্তির ব্যবস্থাকরা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)