ফের বিজেপি সমথর্কদের মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। সোমবার পটাশপুর ১ ব্লকের গোকুলপুর দেবনাথপাড়া এলাকার ঘটনা। বিজেপি-র অভিযোগ দুপুর থেকেই দেবনাথপাড়া ঘিরে রেখে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের লোকজন। চলে মারধরও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মারধর করা হয় বিজেপি সমর্থক পরিবারের সদস্যদেরও। জখম অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে পটাশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের কয়েকজনকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোকুলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বিজেপি-র অঞ্চল সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘আমার বাড়ি ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গ্রামের আরও দশ-বারোটি ঘর ভেঙেছে।’’
জানা গিয়েছে রবিবার জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিজেপি-র একটি কর্মিসভা আয়োজিত হয় গোকুলপুরে। সভার পর ওই রাতেই এলাকায় বিজেপি-তৃণমূলের গোলমাল শুরু হয়। ঘটনার কথা জানিয়ে পটাশপুরের বিজেপি নেতা ও জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি আশিস দাস বলেন, ‘‘আমাদের একটি কর্মিসভা হয়েছিল পুলিশের অনুমতি নিয়েই। ওই সভায় মানুষের উপস্থিতি দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।’’
তৃণমূলের হামলার কথা জানিয়ে এগরা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর পঁয়তাল্লিশের লীলা দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা আগে সিপিএম করতাম। পরে তৃণমূলও করেছি। ওদের অত্যাচারে এখন আমাদের গোটা পাড়া বিজেপি। সেই অপরাধে আমাদের ঘরবাড়ি সব ভেঙে দিয়েছে। আমাকে আর আমার স্বামীকে মেরেছে।’’
অন্য দিকে গোপালপুরে গণ্ডগোলের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে পটাশপুর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজি বলেন, ‘‘বিজেপি-র জেলা নেতারা সভা করার পর থেকেই ওখানে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপি-র হয়ে আমাদের সমর্থকদের মারধর করছে, ঘরবাড়ি ভেঙেছে। তৃণমূল সমর্থক ভাস্কর দেবনাথ বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।’’
গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে পটাশপুর থানার পুলিশ জানায়, কোনও পক্ষই কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন এলাকাটি শান্তিপূর্ণ।