নাক কমিটির তকমা পেতে এক কোটি টাকা খরচ করল মহিষাদল রাজ কলেজ। বুধবার নাক কমিটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল মহিষাদল রাজ কলেজ পরিদর্শনে এসেছিল। এই কলেজ কমিটির পক্ষ থেকে বি-গ্রেডের তকমা পেয়েছিল সাত বছর আগে। এ বার এ-গ্রেডের তকমা পেতেই এই বিপুল খরচ বহন করা হয়েছে বলে খবর।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিটির তিন সদস্য জে প্রভাস কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক, এ কে পাণ্ডে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং এ ডি নাভালগা কর্ণাটকের অঞ্জুমান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ। এ দিন গোটা কলেজ ক্যাম্পাস তাঁরা পরিদর্শন করেন। ইংরেজি, রসায়ন বিভাগের পাশাপাশি ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখেন তাঁরা। প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ ও ছাত্র ইউনিয়নের ঘরও ঘুরে দেখেন সদস্যরা। এমনকী তাঁরা রসায়ন বিভাগে ডক্টরেট শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন। প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থ বিজ্ঞান, সংস্কৃত এবং ইতিহাস বিভাগকে স্নাতকোত্তর স্তরে উন্নীত করতে পরামর্শ দেন তাঁরা। একইসঙ্গে ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স চালু করার কথাও কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেন তাঁরা।
রাজ কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার বেরা বলেন, ‘‘প্রতিনিধিদল কলেজ পরিদর্শন করে খুশি হয়েছেন। কলেজের পরিকাঠামো ও যন্ত্রপাতি কিনতে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি এতে কলেজের ভালই হবে।”
অন্য দিকে, মঙ্গল ও বুধবার গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়ে জাতীয় স্তরের এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ক্রমাগত পরিবেশ ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয় হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের জন্যও অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। মানবসভ্যতা এবং জীব ও প্রাণিজগতের স্বার্থে পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। পরিবেশ বাঁচিয়ে করতে হবে উন্নয়নের কাজ। আলোচনা চক্রে এমনই সহমত পোষণ করলেন বিশিষ্ট ভূগোলবিদ ও নৃতত্ত্ববিদরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থানুকুল্যে সুবর্ণরেখা কলেজের ভূগোল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ওই আলোচনাচক্রের শিরোনাম ছিল, ‘এনভায়ারনমেন্টাল ডিগ্রেডেশন: প্রিভেনশন, কনাজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন ইন্ডিয়া’। সহযোগিতায় ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি কলেজ।
আলোচনায় যোগ দেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ভূগোলবিদ ও নৃতত্ত্ববিদরা। ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত আইসি বিনয়কুমার চন্দ, ভূগোল বিভাগের আশিসকুমার পাল, কৃষ্ণনগর গর্ভমেন্ট কলেজের ভূগোলের বিভাগীয় প্রধান লীলা মাহাতো, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজের চন্দনসুরভি দাস, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিতেন্দ্র শুক্ল প্রমুখ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন কাজের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা। আলোচনাসভার আহ্বায়ক ও সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সুবর্ণরেখা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন সামন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy