Advertisement
E-Paper

বসন্ত উৎসবে রঙিন মেদিনীপুর, সামিল প্রার্থীরাও

বসন্ত উৎসবে নানা রঙের অনুষ্ঠানে মেতে উঠল মেদিনীপুর। বুধবার সকাল থেকেই আবির-রং-পিচকারি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে কচিকাঁচারাও। পাড়ায় পাড়ায় চলেছে দেদার রং খেলাও। ভোটের আগে দোল উৎসবে সামিল হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। রং খেলার ফাঁকেই সেরে নিলেন জনসংযোগও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৭
দোলের রং। মেদিনীপুরে। ছবি: কিংশুক আইচ

দোলের রং। মেদিনীপুরে। ছবি: কিংশুক আইচ

বসন্ত উৎসবে নানা রঙের অনুষ্ঠানে মেতে উঠল মেদিনীপুর। বুধবার সকাল থেকেই আবির-রং-পিচকারি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে কচিকাঁচারাও। পাড়ায় পাড়ায় চলেছে দেদার রং খেলাও। ভোটের আগে দোল উৎসবে সামিল হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। রং খেলার ফাঁকেই সেরে নিলেন জনসংযোগও।

মেদিনীপুর বসন্ত উৎসব কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠে এক অনুষ্ঠান হয়। এ বার ছিল এই উৎসবের ৩৪ তম বর্ষ। নাচ- গান তো ছিলই। সঙ্গে ছিল কবিতা পাঠও। কেউ কেউ স্বরচিত কবিতাও পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সামিল হয় আট থেকে আশি- সকলেই। চলে আবির খেলা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে আলোকবরণ মাইতি বলেন, “সকলে সহযোগিতা করেন বলেই উৎসবের আয়োজন সম্ভব হয়। উৎসবে এসে সকলে আনন্দ করেন, এটাই ভাল লাগে।”

এ দিন সকাল থেকেই অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমে। পরে বেলা বেলা যত গড়িয়েছে, ভিড়ও তত বেড়েছে। দুপুর পর্যন্ত চলেছে অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্তোষ রাণা, তুষার মুখোপাধ্যায়, প্রণব বসুরা। সন্তোষবাবু সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক তথা মেদিনীপুরের প্রার্থী। তুষারবাবু রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক। এ বার নির্বাচনে তিনি মেদিনীপুর থেকে লড়ছেন। প্রণববাবু মেদিনীপুরের পুরপ্রধান।

সন্তোষবাবু বলছিলেন, “প্রতি বছরই এখানে আসি। আবির খেলা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ভাল লাগে।” তুষারবাবুর কথায়, “এই উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। উদ্যোক্তারা খুব সুন্দর ভাবে সমস্ত কিছু আয়োজন করেন। কত মানুষ আসেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়। এটাই ভাল লাগে।” প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী অক্ষয়লাল করের গান দিয়েই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। আলোকবরণ মাইতির কথায়, “শেষে অক্ষয়দার গান না হলে চলে না। ওঁনার বয়স হয়েছে। সকলের অনুরোধে অবশ্য উনি গানটা গান।”

মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরামের উদ্যোগেও এ দিন এক অনুষ্ঠান হয়। শহরের রবীন্দ্র নিলয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘বাসন্তী’। ছিল একক নৃত্য, সমবেত নৃত্যের আয়োজন। উদ্যোক্তাদের পক্ষে রাজনারায়ণ দত্ত বলেন, “এই দিনটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। নানা অনুষ্ঠান হয়। আবির খেলা হয়। বেশ ভাল লাগে।”

spring festival candidate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy