নেতাই-কাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি এক দলীয় কর্মীর পরিবারকে পাট্টা জমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। অশ্বিনী চালক নামে জেলবন্দি ওই সিপিএম কর্মীর স্ত্রী মামনি চালক ও মা স্বর্ণ চালক লালগড় ব্লক সদরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া এলাকায় পাট্টা পাওয়া জমিতে ছিটেবেড়ার মাটির ঘরে বসবাস করেন। সিপিএমের অভিযোগ, ওই জমির উপর দিয়েই রাস্তা বানাতে চায় প্রশাসন। প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অশ্বিনীবাবুর ভাই সুনীল চালক ও মামা বিবেক চালককে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ থানায় আটক করে রাখার পরে রাতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অশ্বিনীবাবুর স্ত্রী মামনিদেবীর অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রাচীর দেওয়ার জন্য এবং একটি রাস্তা তৈরির জন্য তাঁর পাট্টা পাওয়া বসতবাড়ির জমিটি জোর করে দখল করতে চাইছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠিকাদারের লোকজন পুলিশ নিয়ে এসে কাজ শুরু করলে প্রতিবাদ করেন মামনিদেবী। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে জোর করে কাজ করার চেষ্টা হলে দেওর ও মামা শ্বশুরও প্রতিবাদ করেন। এরপরই দু’জনকে ধরে নিয়ে যায় লালগড় থানার পুলিশ। তাঁকেও আটক করার হুমকি দেওয়া হয়। মামনিদেবী বলেন, “আমার স্বামী জেলে রয়েছেন। শাশুড়িকে নিয়ে কোনও মতে এখানে অসহায় অবস্থায় বসবাস করছি।
জোর করে আমাদের উৎখাত করার চেষ্টা হচ্ছে।”
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “পাট্টা পাওয়া জমি থেকে আমাদের কর্মীর পরিবারটিকে উচ্ছেদ করাটাই শাসক দল ও প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য। অসহায় ওই মহিলাকে এভাবে উচ্ছেদ করা হলে আমরা মেনে নেব না।”
তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। উন্নয়নের জন্য কয়েকটি পরিবারকে অন্যত্র জায়গা দিয়ে সরানো হয়েছে। কিন্তু অশ্বিনীবাবুর পরিবার সরতে চাইছেন না। কাজও করতে দিচ্ছেন না।”
লালগড়ের বিডিও অভিজিৎ সামন্ত বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রাচীর দেওয়ার জন্য এবং কংসাবতীর উপর নির্মীয়মান সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জন্য ওখানে কাজ হচ্ছে। ওই পরিবারটির বাধায় ওই অংশে কাজ থমকে রয়েছে। পরিবারটির সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটাব।”