Advertisement
E-Paper

বোর্ড দেখে না কেউ, নড়বড়ে সেতুতে লরি

সেতুর উপর একাধিক ছোট গর্তও তৈরি হয়েছে। সেতুর উপর প্রতিদিনই বাজার বসে। পূর্ত দফতরের এক পদস্থ কর্তা মানছেন, “এই সব পুরনো সেতুর উপর ২০ টনের বেশি মালবাহী গাড়ি চলাচল একেবারেই ঠিক নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৬
খুকুরদহে দুর্বাচটি খালের সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ (ইনসেটে নোটিস) হলেও নজর নেই। দিব্যি চলছে লরি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

খুকুরদহে দুর্বাচটি খালের সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ (ইনসেটে নোটিস) হলেও নজর নেই। দিব্যি চলছে লরি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

সেতু দুর্বল, বোর্ড টাঙিয়ে তা ঘোষণা করেছে পূর্ত দফতর। তারপরেও দাসপুরের খুকুড়দহে দুর্বাচটি খালের সেতু দিয়ে বহনক্ষমতার থেকে কয়েক গুণ বেশি ভারী লরি চলছে বলে অভিযোগ।
১৯৬০ সালে তৈরি হয় এই সেতু। ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কে ৫৮ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে সাত মিটার চওড়া এই সেতু দুই মেদিনীপুরের যোগাযো‌গের একমাত্র মাধ্যম। কলকাতার সঙ্গে ঘাটালের যোগাযোগেরও এটিই ভরসা। সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতর (সড়ক)। প্রায় ষাট বছর আগের ব্যস্ততম সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। অথচ দিনদিন সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়ছে।
বছর চারেক আগে থেকে সেতুর উপর গাড়ি চলাচল করলেই শুরু হয়েছে কম্পন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত কম্পনের কারণ খুঁজতেই বছর দু’য়েক আগে পূর্ত দফতরের সড়ক বিভাগ ডিজাইন বিভাগের বিশেষজ্ঞ বাস্তুকারদের ডেকে পাঠায়। সেতু পরিদর্শনে এসে তখনই নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি কম্পন বন্ধ-সহ বেশ কিছু কাজ করানোর পরামর্শ দিয়ে যান। অভিযোগ, এতদিনে সেই কাজই করে উঠতে পারেনি পূর্ত বিভাগ (সড়ক)। এমনকী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দুর্বল সেতুর উপর ভারী গাড়ী বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
সেতুর দু’দিকে একাধিক রেলিং ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেতুর উপর একাধিক ছোট গর্তও তৈরি হয়েছে। সেতুর উপর প্রতিদিনই বাজার বসে। পূর্ত দফতরের এক পদস্থ কর্তা মানছেন, “এই সব পুরনো সেতুর উপর ২০ টনের বেশি মালবাহী গাড়ি চলাচল একেবারেই ঠিক নয়। কিন্তু প্রতিদিন ৭০-৮০ টন মাল নিয়ে গাড়ি দিব্যি ছুটছে। সেতুর স্বাস্থ্য কেমন আছে সে দিকে নজর দিচ্ছি।” পূর্ত বিভাগের (সড়ক) এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তপোজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “অতিরিক্ত কম্পন বন্ধে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছিল। এ বার সংস্কার করা হবে।”
মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের পরেই টনক নড়েছে দফতরের আধিকারিকদের। দাসপুরের খুকুড়দহে দুর্বল সেতুটি পরিদর্শন শুরু করেছেন পদস্থ বাস্তুকারেরা। প্রঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কে এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতু রক্ষা করাও জরুরি। মূল সড়কে তাই ভারী যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ করাও সমস্যা। নড়বড়ে সেতুর স্বাস্থ্য ফিরবে কবে- সে দিকেই তাকিয়ে ঘাটালবাসী।

Bridge Administration Ghatal Panshkura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy