বেহাল জামতলা-আঙ্গুয়া রাস্তা।
খানাখন্দ যেন রাস্তার নিত্য সঙ্গী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। কিন্তু একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ফের বিপত্তি। পিচ উঠে বেরিয়ে পড়ে খানাখন্দ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এমনই হাল। রাস্তা সংস্কারে কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন। জেলায় সেই টাকা নেই। পরিস্থিতি দেখে রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ চাইতে চলেছে জেলা পরিষদ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “জেলার কয়েকটি রাস্তার অবস্থা ভাল নয়। রাজ্যের কাছে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। টাকা এলেই সংস্কার শুরু হবে।”
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে জেলার ২৬টি রাস্তার অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে কোনও রাস্তা ১৪ কিলোমিটারের, কোনওটি ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। খারাপ রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় অসন্তুষ্ট বাস মালিকেরাও। তাঁদের বক্তব্য, এমন বেহাল রাস্তায় বাস চললে লোকসান বাড়ে। নিত্যযাত্রীদেরও বক্তব্য, এখন বিভিন্ন রুটে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তবে রাস্তার হাল ফেরেনি। রাস্তা খারাপ থাকায় প্রায়শই সমস্যা হয়। গর্তে পড়ে গাড়ি দুলতে থাকে।
ব্যথার পথ
• বিনপুর-২ ব্লকে খাসজঙ্গল-মুরার।
• গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের তপসিয়া থেকে গোয়ালমারা
• গড়বেতা-২’এ হুমগড়-আমলাশুলি
• পিংলার জামনা-ডাকবাংলো রোড
• গড়বেতা-১’এ ধাদিকা-কল্যাণচক
• মেদিনীপুর সদর ও কেশপুরের জামতলা থেকে আঙুয়া।
• দাঁতন থেকে জাহালদা।
• কেশপুরের মুগবসান থেকে খেতুয়া
জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবালবাবু জানালেন, এই ২৬টি রাস্তা বিভিন্ন সময়ে আরআইডিএফ, মার্কেট লিঙ্ক, ঝাড়গ্রাম ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অর্থে তৈরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫টি রাস্তা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের এলাকাভুক্ত। এই রাস্তাগুলোর সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি লেখা হচ্ছে। বাকি যে ১১টি রাস্তা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের এলাকাভুক্ত নয়, সেইগুলোরও খারাপ অংশ পরিদর্শন করে সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য তৃতীয় রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা খরচের কথা ভাবা হয়েছে। শৈবালবাবুর আশ্বাস, “জেলা পরিষদের বৈঠকে ওই রাস্তাগুলোর সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাস্তার খারাপ অংশগুলো পরিদর্শনের কাজও শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy