কাজের দাবিতে ফের শালবনিতে জিন্দল কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন জমিদাতাদের একাংশ। প্রকল্প এলাকায় ঢুকেও পড়েন কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
বিক্ষোভের কথা মানছে জমিদাতা সংগঠনও। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প এলাকায় বাইরের লোকেরা এসে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এলাকার বাসিন্দারা কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জমিদাতা সংগঠনের সম্পাদক পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “যে নিয়োগ হচ্ছে তা বাইরে থেকে করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আর কত দিন ধৈর্য্য ধরবে? এক- দু’জনকেও যদি নিয়োগ করা হত বাকিরা অপেক্ষা করে থাকত।” তিনি আরও বলেন, ‘‘শালবনির মানুষ শিল্পের আশায় জমি দিয়েছিলেন। কাজের আশায় জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা না হওয়ায় এ দিন বিক্ষোভ হয়েছে।’’ বিক্ষোভ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জিন্দল- কর্তৃপক্ষ। জিন্দলদের শালবনি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অলোক ভট্টাচার্য বলেন, “কী হয়েছে ঠিক জানি না। বাইরে আছি। কিছু খবর পাইনি।”
শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ একাংশ জমিদাতা প্রকল্প এলাকায় ঢুকে পড়েন। কাজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। প্রকল্পে যারা কাজ করেন, তাদের একাংশকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শিল্পের জন্য শালবনিতে ৪,৩৩৪ একর জমি নিয়েছিল জিন্দল গোষ্ঠী। এরমধ্যে ৩,০৩৫ একর খাস জমি । শুরুতে ঠিক ছিল এই জমিতে ইস্পাত কারখানা হবে। পরে অবশ্য তা স্থগিত রাখা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শালবনিতে সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস হয়। সিমেন্ট কারখানার পরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও রং কারখানা গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কারখানা থেকে বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদন হওয়ার কথা। কারখানা চালু হলে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জনের। পরোক্ষ ৬০০ জনের।
জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “আমরা চাই, জমিদাতা সব পরিবারের একজনকে কারখানায় কাজ দেওয়া হোক। শুরু থেকেই এই দাবি জানিয়ে আসছি। আশা করি, জিন্দলরা দাবিপূরণ করবেন।” তিনি বলেন, “আগে ইস্পাত হওয়ার কথা ছিল। আপাতত, সিমেন্ট কারখানাটাই চালু হোক। শালবনির মানুষ এখানে একটা কারখানা চাইছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy