ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন ঘাটালের বীরসিংহে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সেদিনই মেদিনীপুরে সমাবেশ রয়েছে সিপিএমের। সেই সমাবেশে আমন্ত্রিত কংগ্রেসও।
শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন না হলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বীরসিংহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুশো তম জন্মদিন উপলক্ষে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওইদিনই মেদিনীপুরে সমাবেশ রয়েছে সিপিএমের। প্রধান বক্তা দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ওই সমাবেশে কংগ্রেসকেও ডাকছে সিপিএম। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘আমাদের সমাবেশে বাম দলগুলির পাশাপাশি অন্য ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে আমরা আমন্ত্রণ করছি। কংগ্রেসের কাছেও আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘খড়্গপুরে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। আমরা সমর্থন করব। ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীর হয়ে আমরা সামনের সারিতে থেকে প্রচার করব। এটা দলেরই সিদ্ধান্ত।’’
আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সিপিএমের সমাবেশে কি আসবে কংগ্রেস? দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর, বিধান ভবনে গিয়েছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি। রাজ্য নেতৃত্ব যা বলবেন তাই করব।’’ সূত্রের খবর, সিপিএমের আমন্ত্রণে সাড়া দেবে কংগ্রেস। সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নিজেও।
সমাবেশে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ কেন? জেলা সিপিএমের এক নেতার ব্যাখ্যা, ‘‘কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে আমাদের সমদূরত্বের লাইন কোনও দিনই ছিল না। আমরা এখানে তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে এক করতে চাই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির চরিত্রের সঙ্গে অন্য কোনও দলের চরিত্র মেলে না। বিজেপি অনেক বেশি প্রতিক্রিয়াশীল দল।’’ কিন্তু গ্রামাঞ্চলে দলের অনেকে তো বিজেপির সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ রেখে চলছে? বিজেপির মিটিং- মিছিলে নেতৃত্বও দিচ্ছেন? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন গড়িমসি করছে সিপিএম? তরুণের দাবি, ‘‘দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা ওদের দল থেকে বার করে দিয়েছি। যারা টাকা খেয়ে বিজেপির হয়ে মিটিং- মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্কই থাকতে পারে না।’’
সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় ঠিক কতজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম? তরুণের জবাব, ‘‘সংখ্যাটা একশো- দেড়শো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy