প্রতীকী ছবি
জট কেটেছে। শীঘ্রই খড়্গপুর স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “জমি নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই। শহরের কাছেই স্টেডিয়াম হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জমি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। দ্রুতই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হবে।”
শহরের কাছে নতুন স্টেডিয়াম গড়ে উঠলে খড়্গপুরে খেলাধুলোর প্রসার হবে বলেই মনে করে পুরসভা। স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ শিবির করাও যেতে পারে। এখন বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের উপর রেলের স্টেডিয়ামের উপর ভরসা করতে হয়, নতুন স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতা আয়োজনেও সুবিধা হবে। রেলশহরে স্টেডিয়ামের দাবি দীর্ঘদিনের। গত বছর জানুয়ারিতে মেদিনীপুরে এসে খড়্গপুর স্টেডিয়াম তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকের একধারের ১২ একর জমিতে এই স্টেডিয়াম গড়ে ওঠার কথা ছিল। প্রাথমিক ভাবে শিল্পতালুকের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি জমি চিহ্নিতও হয়েছিল। সেখানে প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। যদিও স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত এলাকাটি খড়্গপুর শহর থেকে অনেকটা দূরের। বেঁকে বসে পুরসভা।
পুরসভা প্রস্তাব দিয়েছিল, শিল্পতালুকের উত্তর-পশ্চিম দিকে স্টেডিয়াম তৈরি হোক। শহরের কাছে এই এলাকায় ১২ একর জমি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এক বছর কেটে গেলেও স্টেডিয়াম না হওয়ায় হতাশ ছিলেন রেলশহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা। স্টেডিয়ামের জট কাটাতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বৈঠক হয়। মেদিনীপুরে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার দফতরেও বৈঠক হয়েছে। যদিও জট কাটেনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক জেলা সফরে জট কাটে। চলতি মাসের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে এলে তাঁকে সমস্যার কথা জানানো হয়। সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসন শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই আগের জায়গা বদলে শহরের কাছে নতুন জায়গা দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেয় শিল্পোন্নয়ন নিগম। ইতিমধ্যে এই জায়গা দিয়েও দিয়েছে। শহরের কাছে এই জায়গাতেই স্টেডিয়াম তৈরি হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “জমি শিল্পোন্নয়ন নিগমের। তাই একটা সমস্যা ছিল। জায়গার পরিবর্তন করতে হলে নিগমের অনুমতি দরকার ছিল। সেই অনুমতি মিলেছে। এ বার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।”
খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “শহরবাসীর দাবিপূরণ হতে চলেছে। জমি সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল, ইতিমধ্যে তা মিটে গিয়েছে। এ বার কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy