বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ভিতরে প্রদীপ জ্বালানোর ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে শো-কজ় করলেন ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ।
যে পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে রয়েছেন ৩ জন চিকিৎসক, এক জন নার্স আর একজন হাসপাতালের কর্মী। ঘটনার দিন অর্থাৎ রবিবার বিএমওইচ উত্তম মান্ডি হাসপাতালে ছিলেন না। দায়িত্বে ছিলেন সেকেন্ড মেডিক্যাল অফিসার রাজকিশোর হেমব্রম। তবে ওই দু’জনকেই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও শো-কজ় নোটিস পেয়েছেন আরেক চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, রাজকিশোরকে পাঠানো শো-কজ় নোটিসে সিএমওএইচ জানতে চেয়েছেন, গত রবিবার, ৫ এপ্রিল রাতে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে হাসপাতাল ভবনের ভিতরে ও বাইরে প্রদীপ ও মোমবাতি দিয়ে আলোকিত কেন করা হয়েছিল। এর ফলে অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব করে সিএমওএইচ জানতে চেয়েছেন, এই কাজ করার জন্য কোনও নির্দেশ ছিল কিনা? সরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্য সরকারের তরফে এমন কাজ করার কোনও নির্দেশ পেয়েছিলেন কি না শো-কজ় নোটিসে সেটাও জানতে চেয়েছেন সিএমওএইচ। একই রকম ভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে বিএমওএইচকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যদি দেখা যায় কারও ইন্ধনে ইচ্ছাকৃত ভাবে এ কাজ করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। রাজকিশোর বলেন, ‘‘বিভাগীয় বিষয়ে মন্তব্য করব না।’’ বিএমওএইচের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা জানানোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধার কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না।’’
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের আলো নিভিয়ে দিয়ে হাসপাতাল ভবনের ভিতরে ও বাইরে অসংখ্য প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেলপাহাড়ির বিএমওএইচ উত্তমের অনুপস্থিতিতে ওই কাজ হয়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)