একদিনের স্বস্তি শেষে রেলশহরে ফিরে এল উদ্বেগ। এক চিকিৎসকের মৃত্যু হল সেখানে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার খড়্গপুর শহরে ১২ জন নতুন করে পজ়িটিভ হন। ওই আক্রান্তের মধ্যে থাকা ছোট ট্যাংরার বাসিন্দা রেল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বছর ছিয়াশির এক বৃদ্ধ রাতেই মারা যান। রিপোর্ট আসার পরে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থ বোধ করায় নিয়ে যাওয়া হয় রেল হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয়। রেলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টে়ন্ডেন্ট এসএ নাজমি বলেন, “অ্যান্টিজেনে করোনা পজ়িটিভ হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। কোমর্বিডিটির জেরে বাড়িতে অসুস্থ হলে হাসপাতালে আনা হয়। আইসিইউতে রাখা সত্ত্বেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উনি মারা গিয়েছেন।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল হাসপাতালের এক নার্সও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও রেল যোগে সুভাষপল্লির একই পরিবারে ২ জন, দেবলপুরের ১ জন, ইন্দা রেল কোয়ার্টারের ১ জন, ট্রাফিক রেলকলোনির ১ জন, মালঞ্চর বাসিন্দা ১ জন পজ়িটিভ হয়েছেন। এর বাইরে সুভাষপল্লি জনকল্যাণ স্কুল সংলগ্ন এলাকার এক যুবক, দেবলপুরের একই পরিবারের ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মহকুমার মধ্যে ডেবরার ১ জন, খড়্গপুর গ্রামীণের ১ জন, পিংলার ৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। মঙ্গলবার আবার গুজরাত থেকে গাড়িতে ফেরার পথে মৃত ডেবরার বাসিন্দা এক ব্যক্তির অ্যান্টিজেন রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এ দিনই সবংয়ের বলপাইয়ের এক বাসিন্দার মৃত্যু পরে জানা গিয়েছে তিনিও পজ়িটিভ ছিলেন।