Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

বড় মন্দিরে করোনায় কড়াকড়ি, বেলাগাম অন্যত্র

তমুকের বর্গভীমা মন্দিরে যখন কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন রামনগর, কাঁথিকে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি।

করোনা বিধি শিকেয়। মাস্ক ছাড়াই চড়কের মেলায়। বুধবার তমলুক শহরের বুদ্ধ পার্কে।

করোনা বিধি শিকেয়। মাস্ক ছাড়াই চড়কের মেলায়। বুধবার তমলুক শহরের বুদ্ধ পার্কে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
তমলুক শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১১
Share: Save:

করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। নববর্ষ এবং হালখাতার উৎসবের মুখে স্বাস্থ্য দফতরের ওই বিধি যেমন মেনে চলছেন বহু বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী, তখন বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাধা পেয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানেই করোনা বিধি ভেঙে ভিড় করছেন আমজনতা।

নববর্ষ উপলক্ষে হালখাতার পুজো করতে বিভিন্ন মন্দিরে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তমলুক শহরের বর্গভীমা মন্দিরে প্রতিবছর নববর্ষের সকালে হালখাতা পুজো করতে আসেন জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও অনেক বাসিন্দা পুজো দিতে আসেন মন্দিরে। মন্দির ও সংলগ্ন চত্বরে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়জমে। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এবার ব্যবসায়ীদের হালখাতা পুজোর জন্য মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলেও মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত যেতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। নাটমন্দিরের কাছে দাঁড়িয়ে হালখাতার পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরে ভিতরে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে দেবীর পুজোর ফুল দেওয়া হবে। এবং প্রবেশের জন্য প্রত্যেকের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বর্গভীমা মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য অয়ন অধিকারী বলেন, ‘‘করোনা সতর্কতা নিয়ে চলতি বছর প্রশাসন থেকে এখনও আমাদের কাছে কোন নির্দেশিকা আসেনি। তবে আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছি। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধ থাকছে।’’

তমলুক পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, নববর্ষের সকালে মন্দিরে আসা লোকজনদের মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বুধবার থেকে শহরে মাইকে প্রচার চলছে। তমলুক পুরসভা অফিসে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে আগামী সোমবার থেকে চারটি প্রবেশপথের মধ্যে মাত্র একটি খোলা রাখা হবে। চলবে থার্মাল গান দিয়ে চেকিং। পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ রুখতে বাসিন্দাদের সতর্ক করা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

তমুকের বর্গভীমা মন্দিরে যখন কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন রামনগর, কাঁথিকে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি। এ বছর সংক্রমণ রুখতে ওড়িশার চন্দনেশ্বর মন্দিরে গাজন মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কয়েক দিন ধরে চলা শিবভক্তদের 'জল ঢালা'ও বন্ধ করে দেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ওড়িশা সংলগ্ন এ রাজ্যের রামনগর-১, ২ ব্লক এবং কাঁথি এলাকার ছোট শিব মন্দির গুলিতে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছে। যাঁদের অধিকাংশইকেই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE