—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিসংখ্যনে শনিবার ‘রেকর্ড’ গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর। এক দিনে একলপ্তে সর্বোচ্চ আক্রান্তের খোঁজ যেমন মিলেছে জেলায়, তেমনই সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘জেলায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে পাঁচজন কোলঘাটের, চারজন এগরা এলাকার এবং একজন হলদিয়া এলাকার বাসিন্দা। আবার এ দিনই পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে জেলার ১০ জন বাড়ি ফিরেছেন।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এগরার আক্রান্তরা মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত ফেরত। এঁদের মধ্যে ১২ বছরের কিশোর রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এগরা-২ ব্লকের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে, এগরা-১ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিন যুবক গত কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরেছিলেন। এগরা-২ ব্লকের বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ বছরের এক গুজরাত ফেরত কিশোর করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ওই চারজনকে পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা পরিবারের লোকদের আপাতত হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কোলাঘাটে একের পর এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসন। কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘কোলাঘাট ব্লকে করোনা সংক্রমণ রুখতে টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো ব্লকে করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ করা হবে।’’
এ দিন বড়মা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ১০ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। সুস্থদের তালিকায় রয়েছেন মাত্র পাঁচদিন আগে বড়মায় ভর্তি হওয়া মাইশোরার করোনা আক্রান্ত এক পরিযায়ী শ্রমিক এবং সাতদিন আগে ভর্তি হওয়া পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
করোনা আক্রন্তের সংখ্যা বাড়লেও বড়মা হাসপাতাল থেকে করোনা মুক্তির হারে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চিকিৎসকেরা। বড়মা হাসপাতালের নোডাল অফিসার শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বড়মা হাসপাতালে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এই পরিসংখ্যান মানুষের মন থেকে করোনার ভীতি অনেকটাই দূর করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy