Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
CPIM

CPIM: প্রচার ফেলে রোগীর সাহায্যে প্রার্থী

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তেহেরান বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছিলেন। সাড়ে ৭টার দিকে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে।

অভীক দত্তের বাড়িতে।

অভীক দত্তের বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৮
Share: Save:

মনোনয়ন জমা দিয়ে সন্ধ্যায় বেরিয়েছিলেন পুরভোটের প্রচার সারতে। হঠাৎ মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে প্রচার ছেড়েই ছুটলেন অসুস্থের বাড়িতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার পৌঁছতে। কারণ, ভোটের প্রার্থীর পাশাপাশি, তেহেরান হোসেন কাঁথির একজন রেড ‌ভলান্টিয়ার।

২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরুর সময় থেকেই সংক্রমিতদের পাশে থাকতে বামেদের রেড ভলেন্টিয়ার্স তৈরি হয়েছিল। আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, বাড়িত ওষুধ, খাবার, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স। সংক্রমণের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের সময়েও এই কর্মীদের ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। কাঁথিতে রেড ভলান্টিয়ার্সদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তেহেরান। আসন্ন পুরভোটে তিনি কাঁথির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম মনোনীত প্রার্থী।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তেহেরান বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছিলেন। সাড়ে ৭টার দিকে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। তেহরান জানতে পারেন, ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তির বাবা অত্যন্ত অসুস্থ। নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে। প্রচারের আগত কয়েকজন কর্মীকে ওয়ার্ডে রেখে তেহেরান বাড়ি যান এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে স্কুটিতে নিয়ে কাঁথি শহরের জালাল খান বাড় এলাকায় পৌঁছন। ওই এলাকার বাসিন্দা অভীক দত্ত তাঁকে ফোন করেছিলেন।

পেশায় শিক্ষক অভীকের বৃদ্ধ বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা শ্বাসকষ্ট হয় বলে পারিবারিক সূত্রের খবর। অভীক বলছেন, ‘‘বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাবা অসুস্থতা হঠাৎ বেড়ে যায়। তাই তেহেরানকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ফোন করেছিলাম। উনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানতাম না। প্রচার ছেড়ে উনি বাড়িতে সিলিন্ডার দিয়ে গিয়েছেন।’’

প্রার্থী হয়েছেন বলে নিজের পুরনো দায়িত্ব তো আর ভুলে যেতে পারেন না বলে দাবি করছেন তেহরান। তিনি জানাচ্ছেন, করোনা কালে বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো রেড ভলান্টিয়ার্সদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ওই সিপিএম প্রার্থী বলছেন, ‘‘ভোটের লড়াই তো অনেকবারই আসবে। কিন্তু জীবন একটাই। তাই ফোন পেয়ে সিলিন্ডার, মাস্ক নিয়ে অভীকের বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম উনি একটু সুস্থ হয়েছেন। তবে বিপদে ছুটে যাওয়া তো
আমাদের কাজ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM Coronavirus Oxygen WB Municipal Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE