Advertisement
E-Paper

কংগ্রেসের জন্য প্রচার, প্রস্তুতি সিপিএমে

সবংয়ের পরে এ বার খড়্গপুর সদরে কংগ্রেসের সমর্থনে প্রচারে নামার প্রস্তুতিতে কর্মী বৈঠক করল সিপিএম। শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্টের অন্ধ্র হাইস্কুলে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৬ ০১:০৮

সবংয়ের পরে এ বার খড়্গপুর সদরে কংগ্রেসের সমর্থনে প্রচারে নামার প্রস্তুতিতে কর্মী বৈঠক করল সিপিএম। শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্টের অন্ধ্র হাইস্কুলে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

খড়্গপুর সদরে কংগ্রেস লড়বে জানালেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ফলে, প্রচারও শুরু হয়নি। তবে তৃণমূলকে হটাতে প্রচারে ফাঁক রাখতে নারাজ জোট সঙ্গী সিপিএম। তাই রেলশহরে শাসক বিরোধী প্রচারের রূপরেখা কী হবে তা নিয়েই এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রথমে কর্মী ও পরে নেতাদের নিয়ে পৃথক বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ সামন্ত, জেলা কমিটির সদস্য মনোজ ধর, শহর জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল প্রমুখ।

এই কেন্দ্রে তৃণমূল মূল প্রতিপক্ষ হলেও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলে, বামেদের নজরে রয়েছে গেরুয়া-শিবিরও। আপাতত পাড়া বৈঠক ও বাড়ি-বাড়ি প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০ মার্চের মধ্যে এই কেন্দ্রের ২৬৫টি বুথে প্রথম পর্বের প্রচার সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “প্রার্থী ঘোষণা না হলেও রাজ্যে যাঁদের সঙ্গে আমাদের জোট বা সমঝোতা হয়েছে তাঁদের হয়ে আমরা প্রচার করব। তৃণমূলকে হটাতে ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে মানুষকে ভোট দিতে বলব।’’ বিজেপির ভোট আরও কমিয়ে আনতে প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তরুণবাবু।

সিপিএম যখন কংগ্রেসের হয়ে প্রচার শুরু করে দিতে চলেছে তখন খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে কংগ্রেস এখনও হাত গুটিয়ে বসে। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা চলছে। কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের নিয়ম অনুযায়ী যিনি বিধায়ক তাঁকে প্রার্থী করা হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ না চাইলে বিকল্প ভাবা হবে। সেই মতো এখনও পর্যন্ত রেলশহরের ‘চাচা’ তথা বর্ষীয়ান কংগ্রস বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পালেরই প্রার্থী হওয়ার কথা। কিন্তু চাচার বয়স হয়ে যাওয়ায় খড়্গপুরের একাংশ কংগ্রেস কাউন্সিলর বিরোধী দলনেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। শুক্রবার শহরের কয়েকজন কংগ্রেস নেতা-কর্মী এ বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাতে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। অবশ্য এখনও পর্যন্ত চাচা নিজে এখনও কিছু বলছেন না। এ দিন রবিশঙ্করবাবু বলেন, “দল ঠিক করবে প্রার্থী কে হবে। আমরা তার পরেই প্রচারে নামব।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সিপিএম বরাবর প্রচারে আমাদের থেকে এগিয়ে। সেই মতো ওরা প্রচার চালাতেই পারে।’’

assembly election cpm congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy