Advertisement
E-Paper

মুক্তি পেয়ে জেলা ছাড়লেন নিরঞ্জন

জামিনের শর্ত ছিল জেলার বাইরে থাকতে হবে নিরঞ্জনবাবুকে। সেই অনুযায়ী জেল থেকে কলকাতা চলে যান তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে। অধিকারী পরিবারের গভীর ষড়যন্ত্রের ফল।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪১
তমলুক সংশোধনাগার থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ছাড়া পেলেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। নিজস্ব চিত্র

তমলুক সংশোধনাগার থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ছাড়া পেলেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। নিজস্ব চিত্র

জামিনে মুক্তি পেলেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ তমলুক উপ-সংশোধনাগার থেকে বের হন তিনি। তারপর গাড়িতে উঠে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশে।

পাঁশকুড়ায় তৃণমূল কর্মী নিখোঁজ মামলায় জেল হেফাজতে ছিলেন নিরঞ্জনবাবু। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। সেই সংক্রান্ত নথিপত্র এ দিন জেলা আদালতে পেশ করেন নিরঞ্জনবাবুর আইনজীবী।

উপ-সংশোধানাগারের বাইরে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা, রিতা দত্ত, পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক ইব্রাহিম আলি, সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তাপস সিংহ, তমলুকের বিধায়ক ও সিপিআই জেলা সম্পাদক অশোক দিন্দা এবং আরএসপি জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতি ও বাম কর্মী-সমর্থকরা। জামিনের শর্ত ছিল জেলার বাইরে থাকতে হবে নিরঞ্জনবাবুকে। সেই অনুযায়ী জেল থেকে কলকাতা চলে যান তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে। অধিকারী পরিবারের গভীর ষড়যন্ত্রের ফল।’’

গত ১১ সেপ্টেম্বর তমলুকে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। মঞ্চের কাছে থাকা সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সিহি-সহ দলের ১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। পরে জামিন পান সকলে।

কিন্তু তৃণমূল কর্মী সুবল দোলাই নিখোঁজের পুরনো মামলায় অভিযুক্ত নিরঞ্জন সিহিকে হেফাজতে চায় সিআইডি। জেলা আদালতে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর হাইকোর্টে আবেদন করেন নিরঞ্জনবাবু।

CPM নিরঞ্জন সিহি Niranjan Sihi Midnapore মেদিনীপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy