পাখির চোখ লোকসভা উপ-নির্বাচন। সময় নষ্ট না করে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামতে চাইছে সিপিএম।
তমলুকে উপ-নির্বাচনের দিন যে কোনও সময় নষ্ট হতে পারে। তাই দ্রুত প্রচার শুরু করতে একাধিক সভা-মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে বাম শিবির। দলের এক সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই তমলুকের মানিকতলায় জেলার নবনির্বাচিত তিন জন বিধায়ককে নিয়ে মহামিছিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলের হলদিয়া জোনাল কমিটির কাছে প্রচার কর্মসূচি পৌঁছেও গিয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, সিটু-র ব্যানারে জমায়েত ও সভা হলেও প্রতিটি সভায় জেলার বিধায়করা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি, শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি কারখানার গেটেও সভা-সমাবেশ করা হবে। শ্রমিকদের সংগঠিত করে ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়ায় সাফল্যের ‘স্ট্র্যাটেজি’ তুলে ধরার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ জুলাই হলদিয়া বন্দরের গেটে সিটু-র ব্যানারে সভাও হবে। ২২ জুলাই মিৎসুবিশি কারখানার গেটে ও ২৭ জুলাই হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের সামনে সভা হবে। প্রতিটি সভাতেই উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। ১৯ জুলাই দুর্গাচকের ‘এক্সাইড’ কারখানার সামনেও সভা করতে চান দলের নেতারা। বিধানসভা ভোটের পরে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একাধিক কারখানার শ্রমিকের ‘গেট পাস’ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। তার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভও ছড়ায়। এই শ্রমিকদের সংখ্যা কম নয় বুঝেই তাঁদের সংগঠিত করে এখন থেকেই ঘর গোছাতে চাইছে সিপিএম। শ্রমিকদের ভোট ব্যাঙ্ক সঙ্গে থাকলে তমলুক লোকসভা উপ-নির্বাচনে জোরদার লড়াই দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন বাম নেতৃত্ব।
এ নিয়ে সিপিএমের হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল মাইতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের হাতে মানুষ আক্রান্ত। শ্রমিকদের ওপর প্রতিনিয়ত আক্রমণ নেমে আসছে। তাই শ্রমিকদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy