ধানের পরে এ বার রেশন। ফের দুর্নীতির অভিযোগ লালগড়ে।
রেশন দোকানে আচমকা এসে পরিদর্শক হাতেনাতে ধরেও ফেললেন গরমিল। দেখা গেল, দোকানে যেখানে ৩০৯ লিটার কেরোসিন থাকার কথা, সেখানে রয়েছে ২০৯ লিটার কেরোসিন। অর্থাৎ ১০০ লিটার কেরোসিন কম রয়েছে। গ্রাহকদের রসিদ না দেওয়া, নোটিস বোর্ড ঠিকভাবে দেখভাল না করা, হিসেবের বই না রাখা, সাইনবোর্ডে তথ্য না জানানোর মতো অনিয়ম তো রয়েছেই। পরিদর্শকের রিপোর্ট পেয়ে বিনপুর-১ ব্লকের (লালগড়) নেপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপাতপুরের রেশন ডিলার শান্তিময় নায়েককে শো-কজ করেছে খাদ্য দফতর। কেন এই সব গরমিল— সাত দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে ওই ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কিছু গরমিল ছিল। তাই শো-কজ করা হয়েছে।’’
অভিযোগ, শুধু লালগড়ের ওই রেশন দোকান নয়, জেলায় এমন আরও বহু রেশন দোকান অনিয়মে চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত কেরোসিন চড়া দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বাম আমলেও জেলায় গণবন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকার পরিবর্তনের পরেও পরিস্থিতি বিশেষ পাল্টায়নি। সম্প্রতি নেপুরায় খাদ্য দফতরের অভিযানে দেখা যায়, গ্রাহকদের রসিদ দেওয়া হচ্ছে না, ডিসপ্লে বোর্ডে মজুত জিনিসের উল্লেখ নেই, দোকানের খাতাপত্রও ঠিকভাবে দেখভাল হয় না। শান্তিময় নায়েক নামে ওই ডিলারের কেরোসিন এবং রেশন দুই দোকানেই গরমিল ধরা পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy