লাইসেন্স ছাড়াই বেআইনি ভাবে মাদকদ্রব্য (হেরোইন, গাঁজা) কেনাবেচা চলছে। পুলিশ প্রশাসনকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। মেদিনীপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পালবাড়িতে তাই এলাকাবাসীই তৎপর হলেন। শনিবার সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্য কিনতে আসা কয়েকজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলেন তাঁরা। পুলিশ এসে মাদক বিক্রেতার বাড়ির লোক ও ক্রেতা সমেত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। মূল অভিযুক্ত কালুয়ার বাবার ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়েছে। তবে বাকিরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
পালবাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত চার-পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় মৃণাল দেব ওরফে কালুয়া নিজের বাড়িতে বেআইনিভাবে হেরোইন, গাঁজা-সহ নানা মাদকদ্রব্য বিক্রি করত। সারা দিন ধরেই সাইকেল, মোটর সাইকেল, গাড়িতে ছেলেমেয়েরা এসে সেই মাদকদ্রব্য কিনে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা সামন্ত বলেন, ‘‘পাড়ায় অচেনা ছেলেমেয়ের আনাগোনা বেড়েছে। বাড়ির জানলা খোলা থাকলে জিনিসপত্রও চুরি যাচ্ছে। রাস্তায় গলার হার ছিনতাই হচ্ছে। সন্ধের পরে বাড়ির বাইরে বেরোতেই ভয় লাগে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ পালের কথায়, ‘‘পাশেই অঙ্গনওয়াড়ি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাও পাড়ার মধ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে বলায় গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি শুনতে হয়েছে।’’ স্থানীয় সুদেশ মান্না জানালেন, গত বছর কালুয়াকে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপর মাস তিনেক এ সব বন্ধ ছিল। কিন্তু আবার যে কে সেই। স্থানীয় কাউন্সিলর সৌমেন খানও বলেন, ‘‘এলাকায় বাইরের লোকের আনাগোনা বাড়ছে। এলাকায় চুরি বাড়ছে। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’’
শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কালুয়ার বাবা, স্ত্রী-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনি ভাবে মাদকদ্রব্যের বিক্রি বন্ধে নজরদারি রয়েছে।