ডাকঘর বাঁচাতে এ বার ধর্না হল জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে। ডাক বিভাগের সিনিয়র সুপারের দফতরের সামনে সোমবার দীর্ঘক্ষণ এই ধর্না-অবস্থান চলে। পরে ডাক-কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ওঠে। তবে আশ্বাস মতো কাজ না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে খড়্গপুর বোগদা ডাকঘর বাঁচাও যুক্তমঞ্চ। মঞ্চের পক্ষে বীরেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “আগে খড়্গপুরে প্রতিবাদ হয়েছে। এ বার জেলার সদর শহরে এই কর্মসূচি হল। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে যুক্তমঞ্চ বোগদা ডাকঘরকে বাঁচাতে যে কোনও ধরনের আন্দোলন গড়তে পিছপা হবে না। ডাক-কর্তৃপক্ষকেও এ কথা জানিয়ে দিয়েছি।’’
খড়্গপুর রেলস্টেশনের অদূরেই রয়েছে বোগদা ডাকঘর। বহু পুরনো এই ডাকঘরটি সম্প্রতি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডাক বিভাগ ঠিক করেছে, এই ডাকঘরটিকে খড়্গপুর আইআইটি চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। খড়্গপুর আইআইটি চত্বরেও ডাকঘর রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে সরব হয়েছেন গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের বক্তব্য, এর ফলে চরম সমস্যা হবে। বোগদা ডাকঘর বাঁচাতে ইতিমধ্যে যুক্তমঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। যুক্তমঞ্চের উদ্যোগে আন্দোলন কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ তপন সেন, লোকসভার সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের দ্বারস্থ হয়েছে এই যুক্তমঞ্চ। সমস্যার সমাধানে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছে। তপনবাবু, সন্ধ্যাদেবী ডাক বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন। ডাক বিভাগকে গ্রাহকদের সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তপনবাবুরাও চাইছেন, ডাকঘরটি পুরনো জায়গাতেই থাকুক।
যুক্তমঞ্চের বক্তব্য, বোগদা ডাকঘর শতাব্দী প্রাচীন। খড়্গপুর রেলস্টেশনের জন্মলগ্ন থেকে ডাকঘরটি কাজ করে আসছে। মঞ্চের পক্ষে নিখিলরঞ্জন পাত্র বলেন, “ডাক বিভাগ এটিকে বোগদা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে খড়্গপুর শহরের একপ্রান্তে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে ধিক্কার জানাচ্ছি। এবং সর্বশক্তি দিয়ে এর মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করছি।’’