চটজলদি স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা অসম্ভব। অটো-টোটো সংঘাত এড়াতে তাই সাময়িক সমাধানসূত্রের খোঁজ শুরু হল। এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছে মেদিনীপুর শহরের অটো-টোটো দু’টি ইউনিয়নও। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে বিধায়কের উপস্থিতিতেই দুই ইউনিয়নের নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। আলোচনায় একাধিক প্রস্তাব সামনে আসে। ঠিক হয়েছে, সেই সব প্রস্তাব পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হবে। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেনবাবু বলেন, “সকলেই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’’
পুলিশ-প্রশাসনের কাছে দেওয়ার জন্য যৌথ প্রস্তাবপত্র তৈরি করা হয়েছে। তাতে অটো ইউনিয়নের নেতা শেখ সিরাজ এবং টোটো ইউনিয়নের নেতা স্নেহাশিস ভৌমিকের পাশাপাশি সই করেছেন মৃগেনবাবুও। সিরাজের কথায়, “সুষ্ঠু আলোচনা হয়েছে। আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত চাই না।’’ স্নেহাশিসেরও বক্তব্য, “সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক, এটাই চাই।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, “কোনও প্রস্তাব এলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”
বেশ কয়েকদিন ধরেই অটো ও টোটো চালকদের সংঘাত চলছে মেদিনীপুরে। বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে অটো চালকরা সরব হওয়াতেই অশান্তি বেধেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এলআইসি মোড়ে ফের অটো এবং টোটো চালকেরা নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতিও হয়। গোলমালের জেরে কিছুক্ষণ এখানে অটো-টোটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল থেকে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। অটো-টোটো নিয়ে শহরের কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। স্বস্তিতে ছিলেন যাত্রীরা।
শহরে অটো ছিলই। বছর দুয়েক আগে টোটো চলাচল শুরু করে। তারপরই শুরু হয়েছে দ্বৈরথ। টোটোর সংখ্যাও লাফিয়ে বেড়েছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যে সব প্রস্তাব উঠে এসেছে সেগুলি হল— বড় রাস্তায় শুধু অটো চলুক। অটোর নির্দিষ্ট রুটে টোটো না চলাই উচিত। টোটো চলুক ছোট রাস্তায়। যেমন, বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজাবাজারচক রাস্তায় টোটো না চলাই ভাল। ব্যস্ত কেরানিতলা, এলআইসি মোড়, স্টেশন রোড, বাসস্ট্যান্ডে টোটো দাঁড় করিয়ে না রাখাই ভাল। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার আশ্বাস, “সমস্যার স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজতে নীতি রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy