বাধ্য হয়ে পান করতে হয় কুয়োর জলই। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
নলকূপের জল ঘোলাটে। সজলধারা প্রকল্পের জলও মেলেনা। অগত্যা চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছড়া-৩ পঞ্চায়েতের বাচকা গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা কুয়োর জলই।
চন্দ্রকোনা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বাচকা গ্রামে প্রায় পাঁচশো লোক বসবাস করেন। গ্রামের কুমোর পাড়া ও ঘোড়ুই পাড়া মিলিয়ে মোট তিনটি নলকূপ। এর মধ্যে কুমোরপাড়ার নলকূপটি মাঝেমধ্যেই খারাপ থাকে। মাত্রাতিরিক্ত লোহা থাকায় বাকি দু’টি নলকূপের জল ঘোলাটে ও দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে কুয়োর জলই পান করেন অধিকাংশ বাসিন্দা।
গ্রামে একাধিক কুয়ো রয়েছে। যদিও কুয়োগুলির বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই জল তোলেন স্থানীয়রা। জল তোলার পর কাপড়ে ছেঁকে তবেই বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়। কোনও কোনও দিন দেড় কিলোমিটার দূরের ঢলবাঁধের মাঠে স্যালো পাম্প চালানো হলে সেখানেই বালতি, কলসি নিয়ে ছোটেন সকলে। গ্রামের গৃহবধূ অষ্টমী দাস, মুনমুন পাল, পুষ্পরানি মণ্ডলদের অভিযোগ, “ঘোলা জল খেয়ে শরীর খারাপ হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত জলের
সমস্যা মিটুক।’’
বছর দেড়েক বাচকা গ্রামে সজলধারা প্রকল্পও বন্ধ। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, গ্রামের একাংশ বাসিন্দা প্রকল্পের বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় অনেক টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছিল। ফলে বিদ্যুৎ দফতর লাইন কেটে দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সজলধারা প্রকল্পে জল সরবরাহও। দীর্ঘদিন জল না আসায় ভেঙে গিয়েছে পানীয় জলের ট্যাপকলগুলিও।
তৃণমূল পরিচালিত বসনছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান পরিতোষ কোলের সাফাই, “গোটা রাজ্যেই তো পানীয় জলের সমস্যা।’’ প্রতিবেদককেই উল্টে তাঁপ প্রশ্ন, ‘‘শুধু বাচকা গ্রামের সমস্যাই আপনাদের চোখে পড়ল।” পরক্ষণেই তাঁর সংযোজন, “নলকূপগুলি সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি নলকূপ সংস্কার করা হয়েছে। সজলধারা প্রকল্পটি চালুরও চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার কথা শুনেই বিডিও শাশ্বতকুমার লাহিড়ী বলেন, “পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সজলধারা প্রকল্প চালুর নির্দেশ দিয়েছি। এতদিন গ্রামের বাসিন্দারা বিষয়টি আমাকে জানায়নি। সমস্যার কথা শুনেই নলকূপগুলি সংস্কার করে পঞ্চায়েত প্রধানকে রিপোর্ট দিতে বলছি।” সজলধারা প্রকল্প চালু প্রসঙ্গে বাচকা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি মীরা বেরা বলেন, “বিদ্যুৎ বিলের টাকা মিটিয়ে ফের সজলধারা প্রকল্পটি চালুর জন্য পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy